চার সচিব পদে রদবদল, ধর্মসচিব আলোচনায়

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

ধর্মসচিব কাজী এনামুল হাসানকে বদলি করে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (সচিব) পদে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। ধর্মসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দারকে।বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিব করা হয়েছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোলকে। আর অর্থ বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব নাজমা মোবারেককে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে ধর্মসচিবের নিয়োগ আদেশটি আজ সোমবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

হজ ফ্লাইট চলার মধ্যে ধর্মসচিবকে এভাবে বদলি করা নিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। একাধিক সচিব আজ রাতে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, সাধারণত একজন সচিবকে তাৎক্ষণিক বা দিনে দিনে বদলি করা হয় না। কিন্তু ধর্মসচিবের বেলায় এমন ঘটনা ঘটল। একজন সচিবের বদলি হলে তাকে আনুষ্ঠানিক বিদায় দেওয়া রেওয়াজ। ধর্মসচিব সে সুযোগ পাচ্ছেন না।

ধর্মসচিবকে কেন তাৎক্ষণিক বদলি করা হলো, তার কারণ খুঁজতে কথা হয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন অন্তত তিনজন কর্মকর্তার সঙ্গে। তাঁরা জানান, কাজী এনামুল হাসান অনেক দিন ধরে ভালো একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার আশায় ছিলেন। কিন্তু তা হচ্ছিল না। একপর্যায়ে তিনি হতাশ হয়ে অফিসে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। এমনকি সৌদি আরবে সামগ্রিক হজ ব্যবস্থাপনা পরিবীক্ষণ ও রাজকীয় সৌদি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের যে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল ২০ জুন সৌদি আরবে যাচ্ছেন, সেই তালিকায় ধর্ম সচিবের নাম নেই। অথচ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে তালিকায় তাঁর নাম থাকাটা ছিল স্বাভাবিক। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন সচিব আছেন। কিন্তু ধর্ম সচিব সেই তালিকায় নেই।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, কাজী এনামুল হাসান ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচটি ইমামের পিএস ছিলেন।

সূত্র জানায়, দীর্ঘ সময় ধরে অফিসে অনিয়মিত হওয়ায় তাঁকে নিয়ে আলোচনা ছিল। এ কারণে হয়তো তাঁকে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে ফোন করলে ধর্মসচিবের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।