লাশগুলো এখনো ‘বেওয়ারিশ’

পরিচয় শনাক্তে রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে ১১৪ লাশ উত্তোলনে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রয়েছে ৬ বেওয়ারিশ মরদেহ।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ছাত্র-জনতার লাশ গণকবর দেওয়া হয় রায়েরবাজার কবরস্থানে। সেই শহীদদের কবর সীমানাপ্রাচীর দিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। গতকাল বেলা তিনটায় রাজধানীর রায়েরবাজার এলাকায়ছবি: সাজিদ হোসেন

ঢাকার আশুলিয়া থানার সামনে পুলিশের ভ্যানে লাশের স্তূপ পুড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও দেখে লাকী আক্তার নিশ্চিত হয়েছিলেন, সেগুলোর মধ্যে তাঁর স্বামী আবুল হোসেনের লাশ রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আগে আবুল হোসেন হলুদ রঙের জার্সি ও লুঙ্গি পরে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন। ভিডিওতে ওই পোশাকের কিছু অংশ দেখে লাকী আক্তার স্বামীর লাশ শনাক্ত করেছিলেন। পরে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত হতে পেরেছেন।

আশুলিয়ায় লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ওই ঘটনার প্রায় ২৫ দিন পর ভিডিওটি ভাইরাল হয়। তখন সেটি লাকী আক্তারের চোখে পড়েছিল।

রায়েরবাজার কবরস্থানে সোহেল রানার মা
ছবি: সংগৃহীত

দেরিতে হলেও লাকী আক্তার এখন বলতে পারছেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে তাঁর স্বামী শহীদ হয়েছেন। তবে রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে (৪ নম্বর ব্লক) গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে কবর দেওয়া ১১৪টি লাশের ‘বেওয়ারিশ’ পরিচয় এখনো ঘোচেনি। কয়েকটি পরিবার শুধু জানতে পেরেছে, সেখানে বেওয়ারিশ হিসেবে কবর দেওয়া লাশের মধ্যে তাঁদের স্বজনের লাশ রয়েছে। কোন কবরে কার স্বজন শুয়ে আছেন, তা তাঁরা জানেন না।

স্বামী দেশের জন্য শহীদ হইল, এক বছরেও সরকারি গেজেটে স্বামীর নাম উঠল না, স্বীকৃতি ও সম্মান পাইলাম না। আর্থিক সহযোগিতাও পাইলাম না। খালি জায়গায় জায়গায় দৌড়াইতাছি।
লাকী আক্তার, শহীদ আবুল হোসেনের স্ত্রী

একইভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের মর্গে রয়েছে (শাহবাগ থানার অধীন) ছয় বেওয়ারিশ মরদেহ। বেসরকারি উদ্যোগে গঠিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানবিষয়ক বিশেষ সেল চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানিয়েছিল। এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে লাশগুলো দাফনের আলোচনা চলছে।

অবশ্য এ ছয়টি লাশের সঙ্গে আরেকটি লাশ ছিল। সেটি মো. হাসানের বলে দাবি করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। গত বছরের ৫ আগস্ট হাসান সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। এর পর থেকে তাঁর খোঁজ ছিল না।

আমবাগান কবরস্থান
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার কাপ্তানবাজারে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের একটি দোকানের কর্মী হাসানের চাচা নূরে আলম প্রথম আলোকে জানান, মৃত্যুর ছয় মাস পর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে হাসানের লাশ তাঁরা বুঝে পান। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোলায় পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।

বেওয়ারিশ হিসেবে কতজনের লাশ কবর দেওয়া হয়েছে, এর সঠিক কোনো হিসাব নেই। জুলাই আন্দোলন চরমে পৌঁছানোর পর মরদেহগুলো কোথায় যাচ্ছে, কোথায় দাফন করা হচ্ছে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় কে কীভাবে মারা গেছেন, সেসব তথ্য পুরোপুরি সংরক্ষণ করেনি হাসপাতাল, পুলিশ বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ। মৃত ব্যক্তির আঙুলের ছাপ থেকে লাশ চিহ্নিত করার সুযোগ থাকলেও সেটি ঠিকভাবে করা হয়নি তখন।

অবশ্য গতকাল সোমবার রায়েরবাজার কবরস্থান দাফন করা ১১৪ জনের পরিচয় শনাক্তে দেহাবশেষ তোলার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এ আদেশ দিয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেট অনুযায়ী, ২ আগস্ট পর্যন্ত শহীদদের তালিকায় ৮৪৪ জনের নাম ছিল। তবে ৩ আগস্ট রোববার রাতে আটজনের নাম বাদ দিয়ে আরেকটি গেজেট প্রকাশ করা হয়। এ গেজেট অনুযায়ী, শহীদের সংখ্যা এখন ৮৩৬।

রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন কবরস্থান
ছবি: প্রথম আলো

স্বজনের লাশ নিশ্চিত হতে চায় পরিবার

যাত্রাবাড়ীর ব্যবসায়ী সোহেল রানা আন্দোলনে গিয়ে নিখোঁজ হন গত বছরের ১৮ জুলাই। পরিবারের সদস্যরা প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও দেখে রানার মরদেহ শনাক্ত করেন। ঘটনার ৩৪ দিন পর আঞ্জুমান মুফিদুল
ইসলামের বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা মরদেহের নথির মধ্যে সোহেলের ছবি পান। জানতে পারেন রায়েরবাজার কবরস্থানে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। এর পর থেকে সোহেল রানার মা রাশেদা বেগম ছেলের লেমিনেটিং করা ছবি নিয়ে কয়েক দিন পরপর রায়েরবাজার কবরস্থানে ছেলের কবর খুঁজতে যান।

সোহেল রানার ভাই মোহাম্মদ জুয়েল বলেন, ‘আমার ভাই তো বেওয়ারিশ ছিল না। আগের সরকারের পুলিশ ভাইরে হত্যা করছে। বেওয়ারিশভাবে কবর দেওয়ারও ব্যবস্থা করছে। আর বর্তমান সরকার এক বছরেও বেওয়ারিশ লাশগুলা শনাক্ত করতে পারে নাই।’

এক বছর ধরে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো স্বজনের লাশ শনাক্তে নানাভাবে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে। গত ২৮ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স ও জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স-মিরপুর আয়োজিত ‘বেওয়ারিশ লাশ দাফন করা শহীদ পরিবারের বিভিন্ন দাবি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন থেকে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিটি কবর শনাক্ত করে নামফলক লাগানো, জুলাই ঘোষণাপত্রে গণকবরের বিষয়টি উল্লেখ করাসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়।

২ আগস্ট রায়েরবাজার কবরস্থান পরিদর্শনে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তখন তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, অনেক পরিবার আগে রাজি না থাকলেও এখন শনাক্তকরণের জন্য রাজি হয়েছে। লাশগুলো শনাক্তকরণ হলে পরিবার চাইলে স্বজনের লাশ তুলে অন্য জায়গায় কবর দিতে পারবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এ বক্তব্যে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হওয়া সোহেল রানার ভাই মোহাম্মদ জুয়েল ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি দাবি করেন, লাশ শনাক্তে রাজি নয়, এমন একটি পরিবারও নেই।

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এর শহীদদের গণকবর’
ছবি: প্রথম আলো

মর্গের ৬ লাশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ

গত ১৬ জুলাই রায়েরবাজার কবরস্থানের ৪ নম্বর ব্লকের সামনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) একটি সাইনবোর্ড চোখে পড়ল। তাতে লেখা: ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এর শহীদদের গণকবর’। আরেকটি সাইনবোর্ডে লেখা: ‘এই কবরগুলোতে যাঁরা চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন, তাঁদের সবার পিতৃপরিচয় ছিল, ছিল তাঁদের পরিবার। কিন্তু স্বৈরাচারী সরকারের কারণে তাঁরা বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হয়েছেন। তাঁরা তো বেওয়ারিশ ছিলেন না।’

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম রায়েরবাজার কবরস্থানে গত বছরের জুলাই মাসে ৮০ জনের এবং আগস্টে ৩৪ জনের মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগস্ট মাসের শুরু থেকে ১১ দিন অস্থিরতার মধ্যে তাদের কাছে কোনো লাশ দাফনের অনুরোধ আসেনি।

তবে প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ছাত্র-জনতার ৩৬ দিনের (১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট) আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই এবং ৪ ও ৫ আগস্টে। এর মধ্যে ৪ আগস্ট ১০৮ জন এবং ৫ আগস্ট ৩৪৪ জন নিহত হন।

 জুলাই-আগস্টে লাশগুলো কবর দেওয়ার সময় কবরস্থান কর্তৃপক্ষ প্রতিটি কবরের সামনে একটি করে বাঁশের খুঁটি পুঁতে দিয়েছিল। তবে ১৬ জুলাই সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল, ঝড়বৃষ্টিতে অনেক কবরের বাঁশের খুঁটি সরে গেছে বা নষ্ট হয়ে গেছে। অবশ্য ডিএনসিসির তত্ত্বাবধানে বর্তমানে কবরগুলো ঘিরে ইটের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে।

নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা করার একমাত্র সংস্থা হচ্ছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ‘ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি’। এই পরীক্ষাগারের প্রধান ও ডেপুটি চিফ ডিএনএ অ্যানালিস্ট আহমাদ ফেরদৌস প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে থাকা ছয়টি লাশের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো দাবিদার আসেননি।

সিআইডির ‘ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি’ জুলাই আন্দোলনে নিহত অজ্ঞাতনামা ৩৭টি মৃতদেহের মামলার তথ্য (১৭ জুলাই পর্যন্ত) দিয়েছে। এর মধ্যে মৃতদেহ শনাক্ত হয়েছে ১৫টি। অজ্ঞাতপরিচয় মৃতদেহের ডিএনএ প্রস্তুত আছে সাতটি মামলার। জ্ঞাত মৃতদেহ বা পরিবারগুলো স্বজনের লাশ দাবি করলেও তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে ১৪টি ডিএনএ প্রোফাইল প্রস্তুত করা হয়েছে। বর্তমানে ডিএনএ পরীক্ষা প্রক্রিয়াধীন আছে একটি।

পরিচয় অজানা থাকায় মামলা নিয়ে জটিলতা

৫ আগস্টের পর থেকে মোহাম্মদ হৃদয়ের (২০) লাশ খুঁজছে পরিবার। গাজীপুরের কোনাবাড়ীর শরীফ জেনারেল হাসপাতালের সামনের রাস্তায় হৃদয়ের পিঠে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করেন পুলিশের এক সদস্য। এরপর পুলিশ হৃদয়ের দেহ একটি গলির দিকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়, এমন ভিডিও আছে। তবে এরপরের আর কোনো ফুটেজ নেই। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ট্রুথ জাস্টিস প্রজেক্ট এবং টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট হৃদয়ের ভিডিও ফুটেজের ফরেনসিক বিশ্লেষণ করে প্রামাণ্যচিত্রও বানিয়েছে।

হৃদয় টাঙ্গাইলের হেমনগর ডিগ্রি কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি কোনাবাড়ীতে অটোরিকশা চালাতেন। তাঁর বড় বোন মোছাম্মৎ জেসমিন টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ভাইয়ের লাশ পাওয়া যায়নি বলে তাঁদের পরিবার কোনো অনুদান পায়নি। শহীদের তালিকায় জায়গা হয়নি হৃদয়ের।

২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) অনুসন্ধানী দল বলেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হতে পারেন। পুলিশ মৃতদেহ সংগ্রহ করেছে, যার মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরাও আছেন।

১২ জুলাই প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হতাহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সারা দেশে মামলা হয়েছে ১ হাজার ৬০১টি। বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হওয়া ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ার বিষয়টি মামলা ও তদন্তের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করছে।

‘স্বীকৃতি–সম্মান পাইলাম না’

চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়া থানা-পুলিশ বগাবাড়ির আমবাগান এলাকার কবরস্থান থেকে দুটি মরদেহ তোলে। এর মধ্যে একটি আবুল হোসেনের (৩৩) বলে দাবি করেন লাকী আক্তার। পরে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে ডিএনএ পরীক্ষার ফল জানতে পারেন।

গত শনিবার লাকী আক্তার টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বামীর লাশের পরিচয় পাইছি। কিন্তু ওই লাশ বাড়িতে আইন্যা এখনো কবর দিতে পারি নাই। আমবাগানের কবরস্থানেই রইয়্যা গেছে। স্বামী দেশের জন্য শহীদ হইল, এক বছরেও সরকারি গেজেটে স্বামীর নাম উঠল না, স্বীকৃতি ও সম্মান পাইলাম না। আর্থিক সহযোগিতাও পাইলাম না।’

বাবা ও শ্বশুরের আর্থিক অবস্থা ভালো নয় জানিয়ে লাকী আক্তার বলেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ার পরে এক সপ্তাহ শ্বশুরবাড়ি থাকলে এক মাসই থাকন লাগে বাপের বাড়ি।’ আক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ডিসি অফিস ৫ আগস্ট শহীদ পরিবারের সদস্যদের ডাকছে। স্বামীর নাম গেজেটভুক্ত হয় নাই বইল্যা আমারে ডাকে নাই বইল্যা জানাইছে।’