ড. ইউনূসসহ চারজনের বিষয়ে আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ প্রশ্নে রুল শুনানি শেষ, রায় ১৮ মার্চ

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় ও আদেশ স্থগিত করা প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। রায়ের জন্য আগামী সোমবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের এ দিন ধার্য করেন।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা ওই মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে গত ১ জানুয়ারি রায় দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ড. ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ওই আপিল সেদিন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। এ অবস্থায় তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের অংশবিশেষের বৈধতা নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন (ক্রিমিনাল রিভিশন) করেন মামলার বাদী।

বাদী কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শকের করা ওই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। রুলে তৃতীয় শ্রম আদালতের ১ জানুয়ারি দেওয়া রায় ও আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেওয়া আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। রুলের ওপর ৬ মার্চ শুনানি শুরু হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ।

শুনানিতে খুরশীদ আলম খান বলেন, একটি রায়ের দুটি অংশ থাকে, সাজা ও দণ্ড। সাজা কখনো স্থগিত হয় না। দণ্ড স্থগিত করা হলে সে ক্ষেত্রে কারণ উল্লেখ করতে হয়। বাদীপক্ষকে না শুনেই আপিল ট্রাইব্যুনাল রায় স্থগিত করেছেন। এমনকি কোনো কারণ উল্লেখ না করে স্থগিত করা হয়েছে, যা প্রাথমিকভাবে বেআইনি।

অন্যদিকে ড. ইউনূসসহ চার কর্মকর্তার আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, শ্রম আপিল ট্রাইবুনাল ৩ মার্চ পর্যন্ত রায় স্থগিত করেছিলেন। এর মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাই রুল অকার্যকর।