বিএনপি–সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কারাগারে

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী মো. রুহুল কুদ্দুসফাইল ছবি

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গণনা নিয়ে হট্টগোল ও মারামারির মামলায় আইনজীবী রুহুল কুদ্দুসকে (কাজল) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুর রহমান আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুসকে ৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর তোপখানা রোড থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাঁকে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত। চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ তাঁকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। পরে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এ ঘটনায় ৮ মার্চ রাতে গ্রেপ্তার সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপর চারজন হলেন আইনজীবী ওসমান চৌধুরী, হাসানুজ্জামান, তরিকুল ইসলাম ও এনামুল হক। পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আজ এই পাঁচজনকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দুই দিনের ভোট গ্রহণ ৭ মার্চ সন্ধ্যায় শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও ভোট গণনা নিয়ে পরদিন ভোরের দিকে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও মারধরের ঘটনা ঘটে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ওই দিন ভোট গণনা বন্ধ হয়ে যায়।

হট্টগোল ও মারধরের ঘটনায় ৮ মার্চ বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ (এস আর সিদ্দিকী সাইফ)। মামলায় তাঁকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনেন সাইফুর রহমান। সেখানে আইনজীবী নাহিদ সুলতানাকে (যুঁথী) প্রধান এবং রুহুল কুদ্দুসকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়। নাহিদ সুলতানা যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।