দুই আইনজীবীকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন
প্রধান বিচারপতি কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন, প্রত্যাশা একদল আইনজীবীর
নারায়ণগঞ্জে নিজ চেম্বার থেকে খোরশেদ আলম মোল্লা ও সিদ্দিকুর রহমান নামের দুই আইনজীবীকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আইনজীবীদের একটি অংশ। তাঁরা বলেছেন, ‘দুই আইনজীবীকে চেম্বার থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি কোনো ক্ষীণ রাজনৈতিক দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ নেই। বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক প্রধান হিসেবে আমরা প্রত্যাশা করব, প্রধান বিচারপতি এই ঘটনা সম্পর্কে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন; যাতে আইন পেশার সুমহান মর্যাদা সমুন্নত থাকে।’
দুই আইনজীবীকে তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে ‘বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নেতৃবৃন্দ ও সিনিয়র আইনজীবীদের’ ব্যানারে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ বা মামলা চলমান নেই। নারায়ণগঞ্জ চেম্বার থেকে ২৩ অক্টোবর তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে যান। সারা রাত ডিবি হেফাজতে রেখে পরদিন ২৪ অক্টোবর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আইনজীবী মতিউর রহমান আকন্দের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া স্বাধীনভাবে পেশা পরিচালনার স্বার্থে আইনজীবী সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবিও জানানো হয়।
এদিকে ওই সংবাদ সম্মেলনের পর নিজ কার্যালয়ে প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আইনজীবীদের কাউকে বিনা কারণে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া ধরে নেওয়া সমর্থন করেন না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সেটি অন্য বিষয়।
অন্যদিকে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বার কাউন্সিলের সদস্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং বিএনপি ও সমমনা আইনজীবীদের মোর্চা ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্টের আহ্বায়কও। বার কাউন্সিলের সদস্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুসের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্টের সহ-আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মহসীন রশীদ, বার কাউন্সিলের সদস্য ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বক্তব্য দেন।