মশার আবাস খুঁজতে এবার ড্রোন ব্যবহার

মশার প্রজননস্থল চিহ্নিতে ড্রোন ব্যবহার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায়, চট্টগ্রাম নগরের নাসিরাবাদ এলাকায়
ছবি: সৌরভ দাশ

মশার প্রজননস্থল চিহ্নিত করতে এবার ড্রোন ব্যবহার করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। চট্টগ্রাম নগরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সিটি করপোরেশন এই কার্যক্রম শুরু করল।

আজ রোববার বেলা ১১টায় ড্রোন ওড়ানোর মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

নগরের দুই নম্বর গেটের নাসিরাবাদ আবাসিক এলাকা থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নগরের অন্য আবাসিক এলাকাতেও এই অভিযান চালানো হবে বলে জানায় সিটি করপোরেশন।

ড্রোন ব্যবহার কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, শুধু ওষুধ ছিটিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধ বা মশা নির্মূল করা সম্ভব নয়; এ জন্য মানুষের সচেতনতা দরকার। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা বিভিন্ন আবাসিক এলাকার ভবনের ছাদে উঠতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়।

এ কারণে মশার লার্ভা ও মশা ধ্বংস করা যায় না। এই পরিস্থিতি এড়াতে সিটি করপোরেশনের বহুতল ভবনে মশার প্রজননস্থল চিহ্নিত করতে ড্রোন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়। এতে সহজেই মশার প্রজননস্থল চিহ্নিত করা যাবে।

কোনো ভবনের ছাদে মশার প্রজননস্থল শনাক্ত হলে মালিককে জরিমানা করা হবে বলে জানান মেয়র।

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সিটির ১০০টির মধ্যে অন্তত ৬০ থেকে ৭০টি ভবনের ছাদে মশার লার্ভা পাওয়া যাবে বলে তাঁর ধারণা। ভবনের ছাদে, ছাদবাগানের টবে পানি জমে থাকে। নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না।

এখন ড্রোনের মাধ্যমে তা চিহ্নিত করা হবে। আগামী ১০০ দিন ধরে এই কার্যক্রম চলবে।

ড্রোন ব্যবহার কার্যক্রম উদ্বোধনের পর মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী পাশের একটি ভবনের ছাদ পরিদর্শন করেন। তবে ভবনটির ছাদে লার্ভা পাওয়া যায়নি।