সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করুন, যুদ্ধকে ‘না’ বলুন: ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী

জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৫ এপ্রিল, থাইল্যান্ডের ব্যাংককেছবি: ইউএনবি

সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিবের “শান্তির জন্য নতুন অ্যাজেন্ডা” সমর্থন করে বাংলাদেশ। আমাদের অবশ্যই সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে এবং যুদ্ধকে “না” বলতে হবে।’

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রের এসকাপ হলে আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

এর আগে ৬ দিনের সরকারি সফরে গতকাল বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই সংলাপের মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ ও উত্তেজনা নিরসন করতে হবে। সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা অবশ্যই সর্বাগ্রে থাকতে হবে।’

শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, বিশেষ করে আসিয়ানকে প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার আহ্বান জানান। রোহিঙ্গা সংকটের উৎপত্তি মিয়ানমারে। এর সমাধানও মিয়ানমারে রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে চলমান সশস্ত্র সংঘাতের প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। এটা আমাদের ভূখণ্ডের ভেতরে ও বাইরে গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে। রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে দ্রুততম সময়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে, তা আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।’

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে অবশ্যই দারিদ্র্য ও ক্ষুধার অভিন্নশত্রুদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।