রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দালাল চক্রের ২৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়। র্যাব বলেছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই অল্প সময়ে পাসপোর্ট পাইয়ে দেওয়াসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করছিলেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রতন হোসেন, মো. নুরুজ্জামান, নজরুল শেখ, মো. হেলাল, খোরশেদ আলী, বদরুল হায়দার, মো. আনোয়ার, আবুল হোসেন, মামুনুর রহমান, টিপু সুলতান, নুরুল আমিন, মো. মতিন, রাসেল মামুন, আবুল কালাম, শাহীন রেজা ও মো. মনিরুজ্জামানকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ইমরান হোসেন, মো. হাসান, লিমন মিয়া, আশহাদুল হুদা, আসাদুজ্জামান, দেলোয়ার হোসেন, রেজোয়ান, শেখ মোছাদ্দেক ও আবদুল্লাহ ফাহিমকে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাবু নামের একজনকে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
র্যাব-২ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) ফজলুল হক বলেন, সম্প্রতি আগারগাঁও বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এলাকায় দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ আসে। তাঁরা পাসপোর্ট অফিস ও পাশের ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ানো পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের ফরম পূরণ, ফরম সত্যায়িত করা, ব্যাংকে ফি জমা দেওয়ার কাজে সহায়তার আশ্বাস দিত। এমনকি পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া পাঁচ-ছয় হাজার টাকায় দ্রুততম সময়ে পাসপোর্ট তৈরির দায়িত্ব নিত। নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে তাঁরা পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের কাছে থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন।
র্যাব জানায়, দালালেরা অনেক হয়রানির পর পাসপোর্ট হস্তান্তর করতেন। এসব ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার হলেও চক্রের উপদ্রব কমছিল না। এ কারণে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় র্যাব-২। এরপর বৃহস্পতিবার পাসপোর্ট অফিসের আশপাশের এলাকায় বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল হাসান। অভিযানে দালাল চক্রের ২৬ জনকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।