ঢাকায় ৫ মিনিটের দূরত্ব পার হতে ১ ঘণ্টা লাগে: এলজিআরডি মন্ত্রী

বিল আদায়কারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে আজ পুরস্কার দিয়েছে ঢাকা ওয়াসা।
ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি) তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জের। এত মানুষ একটা ছোট জায়গায় থাকায় বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকা পিছিয়ে থাকে। পাঁচ মিনিটের দূরত্ব পার হতে এক ঘণ্টা লেগে যায়।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা ওয়াসা আয়োজিত এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন এলজিআরডিমন্ত্রী। গ্রাহকদের কাছ থেকে পানির বিল আদায়ের জন্য ঢাকা ওয়াসার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ৪০টি ব্যাংক ও ৪টি মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ বিল আদায়কারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দিয়েছে ঢাকা ওয়াসা।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় কত লোক থাকবে, সেটি নির্ধারণ না করলে নাগরিক সুবিধার ওপর চাপ বাড়তেই থাকবে। এই শহরকে আধুনিক বসবাসযোগ্য করতে হলে সবাইকে যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে।

আজ ওয়াসার দেওয়া পুরস্কারের মধ্যে কাউন্টারের মাধ্যমে পানির বিল আদায়ের দিক থেকে প্রথম হয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, দ্বিতীয় প্রিমিয়ার ব্যাংক ও তৃতীয় সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড।

মোবাইলে বিল আদায়ের মাধ্যমে এমএফএসদের মধ্যে প্রথম হয় নগদ, দ্বিতীয় বিকাশ ও তৃতীয় রকেট। ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিল আদায়ে প্রথম ব্র্যাক ব্যাংক, দ্বিতীয় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও তৃতীয় দ্য সিটি ব্যাংক। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিল আদায়ের জন্য পুরস্কার পায় ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী বলেন, বিভিন্ন শাখায় যাঁরা বিল আদায় করেন, তাঁদের জন্য এই পুরস্কার আনন্দের। ঢাকায় পানির সংকট এখন নেই। গ্রাহকেরা ওয়াসার সেবায় সন্তুষ্ট। যাঁরা বিল দিতে আসছেন, তাঁরা ব্যাংকেরও গ্রাহক হয়ে যাচ্ছেন।

তবে ঢাকা ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, যে ব্যাংকগুলো কাউন্টারে বিল আদায়ের জন্য পুরস্কার পেয়েছে, ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব জোনগুলোয় তাদের বুথ রয়েছে। অন্য ব্যাংকগুলোর ওয়াসার রাজস্ব জোনে বুথ নেই। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিল আদায়ে এই ব্যাংকগুলো এগিয়ে থাকে।

অনুষ্ঠানে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, নগদ শুরু থেকেই পরিষেবার বিল পরিশোধের বিষয়টিকে সহজসাধ্য করেছে। ফলে যে কেউ যেকোনো সময় চাইলেই মুঠোফোনের মাত্র কয়েকটা বাটন চেপেই বিল প্রদান সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেন। এতে গ্রাহকদের মূল্যবান সময় যেমন বাঁচছে, তেমন সাশ্রয় হচ্ছে অর্থ।

দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাসরুর আরেফিন বলেন, ক্রেডিট কার্ড মার্কেটের একটি বড় অংশ দ্য সিটি ব্যাংকের। সিটি ব্যাংক কাউন্টারের মাধ্যমে পানির বিল আদায়ের সেবা বাড়ানোর বিষয়ে পরিকল্পনা করছে।

বিল সংগ্রহে সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধন্যবাদ জানান ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান। অনুষ্ঠানে ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খাইরুল ইসলাম, ঢাকা ওয়াসার বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক উত্তম কুমার রায় ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা এস এম মোস্তফা কামাল মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।