বিএসএমএমইউয়ের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে সহকর্মীর শ্লীলতাহানির মামলা

শাহবাগ থানাফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে মামলা করেছেন তাঁর এক নারী সহকর্মী। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শাহবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এই মামলা করেন বিএসএমএমইউয়ের অন্য একটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওই নারী।

মামলার অভিযোগে ওই নারী বলেন, তিনি তিন বছর ধরে বিএসএমএমইউয়ের একটি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। ওই অধ্যাপক নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময় তাঁর কক্ষে তাঁকে ডেকে নেন। তিনি একটি হাসপাতাল তৈরি করবেন জানিয়ে তাঁকে (ওই নারীকে) অংশীদার হতে অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে হাসপাতালের অংশীদারত্বের জন্য ২০ লাখ টাকাও নেন। অধ্যাপক বিভিন্ন সময় কক্ষে ডেকে নিয়ে তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। চাকরির নিরাপত্তার কারণে তিনি বিষয়টি চেপে যান। একপর্যায়ে অধ্যাপক তাঁকে কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন এবং ছবি তুলে রাখেন।

ওই নারী সহকারী অধ্যাপক আরও অভিযোগ করেন, এই অধ্যাপক ছবি তুলেই ক্ষান্ত হননি, তিনি নানাভাবে ব্ল্যাকমেল করছিলেন। গত ২৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিএসএমএমইউয়ের বি-ব্লকের অ্যালামনাই কক্ষে অধ্যাপকের সঙ্গে দেখা হলে শ্লীলতাহানি করেন। এ সময় বাধা দিলে তিনি তাঁকে আঘাত করেন। অধ্যাপক শ্লীলতাহানির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং পরিবারের সদস্যদের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন।

ওই নারীর ভাষ্য, সামাজিক মর্যাদার কথা চিন্তা করে বিষয়টি নিয়ে তিনি চুপ ছিলেন। তবে অধ্যাপক ওই নারীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে থাকেন। এরপর তিনি বিষয়টি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন।

অভিযোগের বিষয়ে ওই অধ্যাপকের বক্তব্য জানতে চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। আজ শুক্রবার তাঁর দুটি মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও সেগুলো ব্যস্ত পাওয়া গেছে।

মামলাটির তদন্ত করছেন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বজলুর রহমান। তিনি আজ প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত তদন্তে ঘটনার কিছুটা সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হবে।