সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহাবস্থান জাতীয় অগ্রগতির অন্যতম মূল ভিত্তি: প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
ফাইল ছবি

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহাবস্থান আমাদের জাতীয় অগ্রগতির অন্যতম মূল ভিত্তি। তাই সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’

বিজয়া পুনর্মিলনী–২০২৩ উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন। সমিতির বিজয়া পুনর্মিলনী ও বাণী অর্চনা উদ্‌যাপন পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।    

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘…দুঃখের বিষয় এই যে দেশে এখনো একটি গোষ্ঠী রয়েছে, যারা বাঙালি সংস্কৃতির সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের ধারা মুছে দিয়ে ধর্মের লেবাসে বাংলাদেশকে অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নিতে তৎপর। তাই আমাদের শপথ হোক, কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তিতে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেব না। এ কারণে একটি উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মাণে আমাদেরকে সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় করতে হবে এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির ঐতিহ্য রক্ষায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রত্যেককে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’  

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা অর্থ এই নয় যে ধর্মহীনতা, বরং এমন একটি চেতনাকে লালন করা, যাতে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ধর্ম উদারতা, মানবিকতাবোধ, অসাম্প্রদায়িকতা ও সহিষ্ণুতা শিক্ষা দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আবার এই ধর্মের অপব্যাখ্যাতেই মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি হয়। তাই ধর্মের মানবিক শিক্ষা গ্রহণ করে একটি বৈষম্যহীন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মানবিক সমাজ বিনির্মাণ করতে হবে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান বক্তব্য দেন। সমিতির সম্পাদক মো. আবদুন নূর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের আহ্বায়ক পঙ্কজ কুমার কুন্ডু। সঞ্চালনায় ছিলেন পরিষদের সদস্যসচিব পুরবী রানী শর্মা।