১৫ দিনের মধ্যে দিনকাল পত্রিকা খুলে না দিলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুমকি সাংবাদিক নেতাদের

দৈনিক দিনকাল পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের প্রতিবাদে সমাবেশে বক্তব্য দেন সাংবাদিক নেতারা
ছবি: প্রথম আলো

১৫ দিনের মধ্যে দৈনিক দিনকাল পত্রিকা খুলে না দিলে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও সচিবালয় ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। তাঁরা বলছেন, এই সরকার গণমাধ্যমের শত্রু হিসেবে বারবার প্রমাণ দিয়েছে। দিনকাল বন্ধ করে আবারও তার প্রমাণ দিল।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন। দৈনিক দিনকাল পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই গণমাধ্যমের ওপর খড়্গ নেমে এসেছে। ১৯৭৫ সালে ৪টি পত্রিকা রেখে সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এবারও ক্ষমতায় এসে অসংখ্য পত্রিকা ও টেলিভিশন বন্ধ করে দিয়েছে। দিনকাল, আমার দেশসহ অন্তত ৫০০ পত্রিকা বন্ধ হয়েছে এই সরকারের আমলে।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে অসংখ্য গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দিনকাল বন্ধ করেছে। দিনকাল বন্ধের প্রতিবাদ ইতিমধ্যে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে। এই সরকারের বিদায় ছাড়া গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।

সংগঠনটির সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘এই সরকার দিনকাল বন্ধ করে দিয়ে অতীতের মতো আরও একটি কালো দিন উপহার দিয়েছে। এর আগে আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, চ্যানেল ওয়ানসহ বহু সংবাদমাধ্যম বন্ধ করে একের পর এক কালো দিবস উপহার দিয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে দিনকাল পত্রিকা খুলে না দিলে প্রেস কাউন্সিল ও সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে। সেই আন্দোলনে দিনকালসহ বন্ধ সব গণমাধ্যম খুলে দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ডিইউজের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, বিএফইউজের (একাংশ) মহাসচিব নুরুল আমিন, বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও দৈনিক দিনকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শামসুর রহমান, ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান প্রমুখ।