যারা প্রথম আলো-ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা করেছে, তারা গণবিরোধী শক্তি: ড. কামাল হোসেন
যারা প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা করেছে, তারা গণবিরোধী শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে হামলা ও অগ্নিসংযোগে ভস্মীভূত প্রথম আলো কার্যালয় আজ রোববার দুপুরে পরিদর্শনে এসে এ মন্তব্য করেন বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেন।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর গত বৃহস্পতিবার রাতে একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা চালায়।
ড. কামাল হোসেন বলেন, যারা এ হামলা করেছে, তারা যে গণবিরোধী শক্তি, এটা বোঝাই যায়। কারণ, এই পত্রিকাগুলো জনগণের পক্ষে ভূমিকা রেখে আসছে। আর সরকার যেভাবে নীরব ভূমিকা রেখেছে, তা–ও নিন্দনীয়।
হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি। তিনি বলেন, গণবিরোধী এই শক্তির ব্যাপারে জনগণকে সজাগ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই গণবিরোধী শক্তিকে ঠেকাতে হবে।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ওপর হামলাকে ন্যক্কারজনক হিসেবে অভিহিত করেন গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর দেশের দুই শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা হয়েছে তৌহিদী জনতার নামে। এ হামলার ঘটনায় তাঁরা অত্যন্ত দুঃখিত, মর্মাহত। সারা জাতি আজ স্তম্ভিত। তিনি মনে করেন, গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে তারা বারবার বাংলাদেশের ওপর আঘাত হানছে, অতীতেও হেনেছে। এখন আবার হামলা শুরু হয়েছে। যেকোনো অজুহাতে তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।
সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর ওপর হামলা শুরু হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন সুব্রত চৌধুরী। তিনি বলেন, তাঁরা বলতে চান, বাংলাদেশের জনগণ কখনো এই অপশক্তিকে মেনে নেবে না। জনগণ প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে এই অপশক্তির বিনাশ ঘটাবে।
প্রথম আলো অতীতের মতো আবার জনগণের মুখপত্র হিসেবে মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করবে, জাতিকে আবার জাগ্রত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন সুব্রত চৌধুরী।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ঘোষণা দিয়ে শাহবাগ থেকে এসে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা হলো। এ হামলাকে মুক্তচিন্তা ও স্বাধীন সংবাদপত্রের ওপর একটা বিরাট হুমকি বলে মনে করে গণফোরাম। তাঁরা মনে করেন, সরকার এ ব্যাপারে প্রথম থেকেই নীরবতার পরিচয় দিয়েছে। এর নিন্দা জানায় গণফোরাম। দ্রুত এই দুষ্কৃতকারীদের খুঁজে বের করে তাদের আইনের আওতায় আনতে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে তাঁরা সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন।