সমতার খোঁজে শিক্ষা

২০২৪ সালে তরুণদের আন্দোলন আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, সমান সুযোগ আর ন্যায্যতাই আজকের প্রজন্মের সবচেয়ে বড় দাবি। কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ন্যায্যতা। কিন্তু এর মূল বার্তা ছিল আরও গভীর। এই প্রজন্ম আর অন্যায়ের সঙ্গে আপস করতে চায় না। তারা এমন এক বাংলাদেশ চায়, যেখানে সুযোগ নির্ভর করবে মেধা, পরিশ্রম ও দক্ষতার ওপর, জন্মপরিচয়ের ওপর নয়। এই তরুণদের শক্তিই আমাদের ভবিষ্যৎ আর সেই ভবিষ্যৎ তখনই টেকসই হবে, যখন শিক্ষাব্যবস্থার ভিত হবে মজবুত।

প্রাচুর্যের বিপরীতে অভাব আর সংগ্রাম

আমরা প্রায়ই বলি, ‘শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড’। কিন্তু সেই মেরুদণ্ডই যদি বৈষম্যে বাঁকা হয়ে যায়, তাহলে জাতি সোজা হয়ে দাঁড়াবে কীভাবে? বাংলাদেশে আজও শিক্ষার মান, সুযোগ ও ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে জন্মস্থান, আয় আর যোগাযোগব্যবস্থার ওপর। একদিকে শহরের শিশুরা যেমন স্মার্ট বোর্ড আর আধুনিক উপকরণে শিখে এগিয়ে থাকছে, অন্যদিকে সীমিত সম্পদ আর প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকই শহরের বাইরের শিশুদের সহায়। তাই শহরে যে শিক্ষা পাওয়া যায়, বাইরে তা যায় না, এটাই বাস্তবতা। 

এটি কোনো ব্যক্তিগত ত্রুটি নয়, এটি আমাদের নীতিগত ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। আমাদের শিক্ষকেরা পরিশ্রমী ও আন্তরিক; কিন্তু তাঁরা কি একই মানের প্রশিক্ষণ, একই সুযোগ-সুবিধা বা একই ধরনের উপকরণ পান? এক পাশে প্রাচুর্য, অন্য পাশে অভাব আর সংগ্রাম—এই বৈষম্যই আজও বাংলাদেশের শিক্ষায় সবচেয়ে বড় সংকট।

বৈষম্যের গভীরে এক দৃষ্টি

আজ বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৪০ লাখ। দেশের অর্ধেক জনশক্তির বয়স ২৫ বছরের কম; অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৮ কোটি তরুণ। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণদের প্রায় ৪০ শতাংশ বর্তমানে কোনো পড়াশোনা, চাকরি বা প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত নয়।

দেশে ৪ কোটি ২০ লাখ শিক্ষার্থী। কিন্তু তাদের জন্য যথেষ্ট প্রশিক্ষিত শিক্ষক নেই। কাগজে-কলমে বলা হয়, গড়ে প্রতি ৩৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক আছেন। কিন্তু গ্রামের কিছু স্কুলে গেলে দেখা যায় ভিন্ন ছবি; সেখানে অনেক সময় একজন শিক্ষকের সামনে ৬০টা মুখ, ৬০টা প্রশ্ন, ৬০টা স্বপ্ন।

২০১৮ সালে শুরু হওয়া প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (পিইডিপি-৪), যার বাজেট ছিল ৩৮ হাজার ২৯১ কোটি টাকা, ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৬২ শতাংশ। প্রকল্পের কাজ পিছিয়েছে, কিন্তু শিশুদের শেখার সময়টা কি থেমে ছিল?

আমাদের সামনে এখন দুটি পথ—একটি পুরোনো, যেখানে বৈষম্য আরও বাড়তে থাকবে; আরেকটিতেে প্রযুক্তির মাধ্যমে সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে অমিত সুযোগ।

এক জরিপে দেখা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের অধিকাংশ শিক্ষার্থী এখনো বিভিন্ন কোচিং সেন্টার ও প্রাইভেট টিউটরের ওপর নির্ভরশীল। মানসম্মত শিক্ষা এখন শুধু অধিকারের প্রশ্ন নয়, বরং অর্থনৈতিক সামর্থ্যেরও প্রশ্ন। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার শহরের তুলনায় গ্রামে অর্ধেকের কম। ফলে ডিজিটাল কনটেন্ট শহুরে মানুষের নাগালে, কিন্তু শহরের বাইরে এখনো অধরা।

সবচেয়ে বড় বৈপরীত্যটি দেখা যায় জাতীয় বাজেটে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটের মধ্যে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ৯৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা; যা দেশের জিডিপির মাত্র ১ দশমিক ৬ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় এই হার এখনো সবচেয়ে কম।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই সীমিত অর্থ দিয়ে দেশের ৪ কোটি ২০ লাখ শিক্ষার্থী, প্রায় ১০ লাখ শিক্ষক এবং অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়ন ও সমতা নিশ্চিত করা আদৌ সম্ভব কি?

সীমিত সম্পদের দেশ, সীমাহীন স্বপ্ন

রাজস্ব আদায় কম হওয়ায় সরকারের ব্যয়ের সক্ষমতাও কম। তাই সরকার চাইলেই হুট করে শিক্ষা বাজেট দ্বিগুণ করতে পারবে না, এটাই বাস্তবতা। তাহলে সমাধান কোথায়?

সমাধান নতুন করে ভাবার মধ্যে। বর্তমান বিশ্বে সীমিত সম্পদে অধিক প্রভাব সৃষ্টির একমাত্র পথ হচ্ছে ডিজিটাল রূপান্তর।

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার সমস্যা কেবল অর্থের ঘাটতি নয়, বরং দক্ষতা ও সুযোগের অসম বণ্টন। শহরাঞ্চলে ভালো শিক্ষক পাওয়া গেলেও শহরের বাইরে দৃশ্যপট একেবারেই ভিন্ন। এতে বঞ্চিত হচ্ছে লাখ লাখ শিক্ষার্থী। প্রযুক্তিই পারে এই ব্যবধান দূর করতে। একটি অনলাইন বা ভিডিও ক্লাস, একটি স্মার্ট ডিভাইস, একটি ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষই পারে একজন ভালো শিক্ষককে সবার কাছে পৌঁছে দিতে।

প্রযুক্তির এই অমিত সম্ভাবনা আর সাফল্যের কথা বলতে গেলে চলে আসে পটুয়াখালীর বাউফলের ছেলে আল আমিনের কথা। তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনের উৎস ছিল বাবার ছোট একটা ব্যবসা। পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার সঙ্গে সময় দিতে হতো আল আমিনকে। টাকার অভাবে আলাদা করে কোথাও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির কোচিং করতে পারেনি, ‘শিখো’ই ছিল তার একমাত্র ভরসার জায়গা।

সারা দেশে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর দেখা গেল, সম্মিলিত মেধাতালিকায় আল আমিন ১১৭তম স্থান অর্জন করেছে। জীবনবদলের নতুন বাঁকে মোড় নিয়ে আল আমিন এখন ভর্তি হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজে। 

আবার সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের ছেলে মুশফিক। যেখানে ভালো শিক্ষক পাওয়া কঠিন আর মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ প্রায় অধরাই। এমন এক অঞ্চলে থেকেও মুশফিক প্রমাণ করেছে, স্বপ্নের কোনো ভৌগোলিক সীমা নেই। তার স্কুলের ইতিহাসে আগে কখনো কেউ নটর ডেম কলেজে পড়েনি। কিন্তু মুশফিক সেই ইতিহাস বদলে দিয়েছে। এসএসসিতে জিপিএ-৫ অর্জন করে সে নিজের গ্রাম থেকে সরাসরি পৌঁছে গেছে দেশের অন্যতম সেরা কলেজ নটর ডেমে। তার এই যাত্রায় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিল শিখো। 

আল আমিন কিংবা মুশফিক, তাদের গল্প শুধু ব্যক্তিগত অর্জন নয়; বরং বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তনের এক স্পষ্ট বার্তা। তারা দেখিয়ে দিয়েছে, প্রযুক্তি, ভালো শিক্ষক ও মানসম্মত কনটেন্ট যদি সবার নাগালে পৌঁছায়, তাহলে দেশের সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও নতুন প্রজন্ম অসম্ভবকে সম্ভব করতে সক্ষম।

ডিজিটাল রূপান্তর মানে শিক্ষার নতুন কাঠামো

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এখন সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন একটি নতুন কাঠামো, যেখানে প্রযুক্তি হবে ভিত্তি, আর মানুষ থাকবে কেন্দ্রে। প্রযুক্তি কোনো বিকল্প নয়; এটি সহায়ক শক্তি, যা শিক্ষককে ক্ষমতায়িত করে, শিক্ষার্থীকে স্বাধীন করে, অভিভাবককে সম্পৃক্ত করে, প্রশাসককে দক্ষ করে আর নীতিনির্ধারককে করে তোলো তথ্যসমৃদ্ধ।

১. পাঠ্যক্রম: প্রযুক্তি পাঠ্যক্রমকে আরও আধুনিক ও প্রাসঙ্গিক করতে পারে। ডিজিটাল উপকরণ ও অনলাইন রিসোর্সের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা আর্থিক সাক্ষরতার মতো নতুন দক্ষতা পাঠ্যক্রমে সহজে যুক্ত করা যায়। ফলে শেখা হয় শুধু পরীক্ষার জন্য নয়, জীবনের জন্য।

২. শিক্ষক প্রশিক্ষণ: দেশে ১০ লাখের বেশি শিক্ষক, কিন্তু প্রশিক্ষণের সুযোগ সীমিত। অনলাইন প্রশিক্ষণ, মাইক্রো লার্নিং ভিডিও, ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুম ও এআই সহায়ক টুলের মাধ্যমে শিক্ষকেরা নিজেদের সুবিধামতো সময়ে, আপন গতিতে নিজেকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মতো করে গড়ে তুলতে পারেন। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়ে, শ্রেণিকক্ষ প্রাণবন্ত হয় এবং শিক্ষাদান হয় আরও কার্যকর।

৩. শিক্ষণ উপকরণ: পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি এসেছে ভিডিও, অ্যানিমেশন, সিমুলেশন ও গেম-বেজড লার্নিং। এসব ডিজিটাল উপকরণ শেখাকে আনন্দদায়ক করে, আর শিক্ষক পান একটি কার্যকর সহায়ক।

৪. শিক্ষার্থীর ফলাফল: ডিজিটাল মূল্যায়নব্যবস্থার মাধ্যমে শেখার অগ্রগতি তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়। কে কোথায় পিছিয়ে আছে, কার কী সহায়তা দরকার—সবই বোঝা যায় তথ্যের মাধ্যমে। ফলে পুরো ব্যবস্থা হয় তথ্যভিত্তিক ও ক্রমাগত উন্নয়নশীল।

শিক্ষাপ্রযুক্তির সৌন্দর্য এখানেই। এটি একে অপরের সঙ্গে যুক্ত এক কাঠামো। শিক্ষার্থী শেখে, শিক্ষক অনুপ্রাণিত হন, অভিভাবক বুঝতে পারেন, প্রশাসন পরিকল্পনা করে আর নীতিনির্ধারকেরা জানেন কোথায় বিনিয়োগ করলে সর্বাধিক ফল মিলবে।

ইন্টারনেট মানে বিলাসিতা নয়, মৌলিক অধিকার

আমাদের দেশে এখনো ইন্টারনেটকে অনেকেই বিলাসিতা মনে করেন। অথচ আজকের পৃথিবীতে এটি বিদ্যুৎ বা পানির মতোই অপরিহার্য।

ভারতে ২০১৬ সালে রিলায়েন্স জিও ডেটার দাম কমিয়ে ইন্টারনেট সবার নাগালের মধ্যে নিয়ে আসে। সেই সিদ্ধান্তেই তারা অনলাইন শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য আর কর্মসংস্থানে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। সাহসী নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলে বাংলাদেশেও তা সম্ভব।

মোবাইল ডেটায় অতিরিক্ত কর, ফোন উৎপাদনে বাড়তি ভ্যাট—এসব কমাতে হবে। দেশের যেসব অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ দুর্বল, সেসব অঞ্চলে অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

এ ছাড়া শিক্ষাপ্রযুক্তিতে তৈরি সফটওয়্যার ও ডিজিটাল টুলগুলো দেশীয় বিশেষজ্ঞদের হাতে তৈরি হওয়া জরুরি; যারা পাঠ্যক্রম, ভাষা ও বাস্তব পরিপ্রেক্ষিত জানেন এবং বোঝেন।

যেভাবে বিদ্যুৎ না থাকলে একটি গ্রাম অন্ধকারে থাকে, ঠিক তেমনই ইন্টারনেট ছাড়া একটি অঞ্চল বঞ্চিত থাকে উন্নয়নের আলো থেকে। সাশ্রয়ী ইন্টারনেটই এই বৈষম্যের দেয়াল ভাঙতে পারে।

অর্থনীতি ও আশার সমীকরণ শিক্ষাসংস্কার মানে শুধু পাঠ্যক্রম পরিবর্তন বা সংস্কার নয়, এটি অর্থনীতিরও সংস্কার। যদি সারাদেশের স্কুলে স্কুলে ডিজিটাল সংযোগ দেওয়া যায়, এটি হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা-সংযুক্ত কর্মসংস্থান কর্মসূচি। 

একইভাবে ১০ লাখ শিক্ষক যদি প্রযুক্তি-সহায়ক টুল ব্যবহার করে প্রতি সপ্তাহে মাত্র ১ ঘণ্টা সময় সাশ্রয় করতে পারেন, তাহলে বছরে প্রায় ৫ কোটি ঘণ্টা নতুনভাবে শিক্ষার্থীর শেখানোর কাজে ব্যয় করা সম্ভব। এক গবেষণা বলছে, ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক–ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে আগামী পাঁচ বছরে দেড় থেকে ২ শতাংশ পর্যন্ত জিডিপি বাড়ানো সম্ভব। তাই শিক্ষাসংস্কার শুধু মানবিক উদ্যোগ নয়, এটি একটি সুস্পষ্ট অর্থনৈতিক নীতিও।

এক নতুন চুক্তির সময়

বাংলাদেশ এখন এমন এক বাঁকে এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে শিক্ষা শুধু ভবিষ্যতের প্রস্তুতি নয়, এটাই ভবিষ্যৎ।

আমাদের সামনে এখন দুটি পথ—একটি পুরোনো, যেখানে বৈষম্য আরও বাড়তে থাকবে; আরেকটি নতুন পথ, যেখানে প্রযুক্তির মাধ্যমে সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে অমিত সুযোগ।

আমাদের প্রয়োজন এক নতুন সামাজিক চুক্তি, যেখানে শিক্ষা সবার, প্রযুক্তি সবার, ভবিষ্যৎও সবার। প্রযুক্তি হবে সমতার হাতিয়ার, আর শিক্ষা হবে আগামী প্রজন্মের শক্তির উৎস।

যেদিন দেশের প্রতিটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে থাকবে টেলিভিশনের পর্দা, প্রত্যেক শিক্ষক পাবেন নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও সহায়তা। 

আমি বিশ্বাস করি, যেদিন বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর শেখা তার জন্মস্থানের ওপর নির্ভর করবে না, সেদিনই আমরা অর্জন করব জ্ঞান ও সুযোগের প্রকৃত স্বাধীনতা।

  • শাহীর চৌধুরী: প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী, শিখো