সচিবালয়ে আগুন সুপরিকল্পিত, বলছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন

সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি সুপরিকল্পিত বলে মনে করে প্রশাসন ক্যাডারদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে সংগঠনটি। অপশক্তির প্ররোচনায় এই আগুনের ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বড়দিনের ছুটির পর রাতে জনমানবহীন সচিবালয়ে সংঘটিত ঘটনাটি সুপরিকল্পিত বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত থেকে প্রতীয়মান হয়েছে। কারও কারও মতে, এমন নাশকতামূলক কাজের পেছনে সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে শেখ হাসিনার মদদপুষ্ট তথা স্বৈরাচারের দোসরেরা জড়িত। তাঁরা এখনো কর্মরত রয়েছেন এবং ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসরদের অনেকের কাছে এখনো সচিবালয়ে প্রবেশের পাস থাকায় তাঁরা সচিবালয়ে অবৈধভাবে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন। কাজেই স্বৈরাচারের দোসরদের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ সহযোগিতা ও প্রবেশের ফলে সংঘটিত ঘটনাটির সঙ্গে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা আরও হয়, বিভিন্ন সময় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট–সমর্থিত আত্মগোপনে থাকা অপশক্তিকে নানা ধরনের অপপ্রচার করে সরকারকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা লক্ষ করা গেছে। সার্বিক বিবেচনায় সচিবালয়ে আগুনের ঘটনার পেছনে দেশবিরোধী সেই চক্র জড়িত কি না, সেটিও গভীরভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সচিবালয়কে স্বৈরাচারের দোসরমুক্ত করাও এখন জরুরি বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে অপরিণামদর্শী ও অযৌক্তিক লেখালেখির মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা ক্ষেত্রে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চলছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা এই অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং এমন কাজ থেকে বিরত থাকাসহ জড়িত ব্যক্তিদের অতি দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।’