‘সবচেয়ে বিদ্যুৎ–সাশ্রয়ী’ বাতি, তবে বাজারে পাওয়া যায় না

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ইস্টার্ন টিউবস–এর কারখানা
ছবি: প্রথম আলো

সরকারের একমাত্র বৈদ্যুতিক বাতি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন টিউবস লিমিটেড। বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) অধীন প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তাদের এলইডি বাতি দেশের বাজারে পাওয়া সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী। তবে এরপরও লোকসানে রয়েছে তারা। আর বাজারেও পাওয়া যায় না তাদের বাতি।

ফ্লুরোসেন্ট টিউবলাইট, কমপ্যাক্ট ফ্লুরেসেন্ট ল্যাম্প (সিএফএল), এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োড) বাল্ব ও এলইডি টিউবলাইট—এই চার ধরনের বাতি উৎপাদন করে ইস্টার্ন টিউবস। প্রতিষ্ঠানটির কারখানা রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কারখানা থেকে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে বাতি সরবরাহের জন্য ইস্টার্ন টিউবসের মাত্র একটি কাভার্ড ভ্যান আছে। দেশের অন্যত্র সরবরাহের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রতিষ্ঠানটির পণ্য বাজারজাতকরণের জন্য ঢাকাসহ সারা দেশে ৫৫ জন এজেন্ট রয়েছেন। তবে তাদের অধিকাংশই সক্রিয় নন।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার সুপার মার্কেটের চারটি, ফার্মগেটের দুটি ও পান্থপথের পাঁচটি ইলেকট্রনিকসের দোকানে খোঁজ নিয়ে মাত্র একটিতে বাতি পাওয়া গেছে। পান্থপথের মামা ইলেকট্রনিকস নামের যে দোকানে ইস্টার্ন টিউবসের বাতি পাওয়া গেছে, সেটি এলইডিও নয়, ফ্লুরোসেন্ট টিউবলাইট।

বাজারে আসার আগে পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমতি নিতে হয়। সেখানেই আটকে দেওয়ার কথা। সেটা করা হয় কি না, জানি না।
সুব্রত কুমার, অধ্যাপক, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ইস্টার্ন টিউবসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শামিম আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিক্রি বাড়ানোর জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ জন্য সম্প্রতি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে দ্বিগুণ করে ১০টি দল গঠন করেছি। তাদের কাজ হবে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বাজারে যাওয়া, গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা। এ ছাড়া ঢাকায় পণ্য সরবরাহ বাড়ানোর জন্য আরেকটি কাভার্ড ভ্যান কেনার পরিকল্পনা হচ্ছে। এজেন্টদের সক্রিয় করতেও কাজ করছি। আশা করছি, এসব পদক্ষেপে বাতি বিক্রি বাড়বে।’

বাজারে কেন পাওয়া যায় না

ইস্টার্ন টিউবসের কর্মকর্তারা জানান, তাঁদের পণ্যের সবচেয়ে বড় ক্রেতা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বড় বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের ৯০ শতাংশই বিক্রি হয়। বাকি ১০ শতাংশ পণ্য পাইকারি ও খুচরা বাজারে যায়। এজেন্টরা কম সক্রিয় থাকায় ঢাকার বাইরের বাজারে তাঁদের পণ্য খুব কম যায়।

অন্যদিকে ইস্টার্ন টিউবসের বাতির দাম বাজারের অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় বেশি। যেমন ইস্টার্ন টিউবসের একটি ২০ ওয়াটের এলইডি বাল্বের দাম ৫০০ টাকা। এর বিপরীতে সুপারস্টার ব্র্যান্ডের ২০ ওয়াটের এলইডি বাল্বের খুচরা মূল্য ২৯০ টাকা, ওসাকা ব্র্যান্ডের দাম ২৫৫ টাকা।

রাজধানীর যে ১১টি ইলেকট্রনিকসের দোকানিদের সঙ্গে কথা হয়েছে, তাঁদের বেশির ভাগেরই দাবি, ইস্টার্ন টিউবসের বিক্রয় প্রতিনিধি তাঁদের কাছে আসেন না। কয়েকজন বলেন, ইস্টার্ন টিউবসের বিক্রয় প্রতিনিধি এলেও তা নিয়মিত নয়। তাঁরা তিন-চার মাস পরপর আসেন।

ওই দোকানিরা জানান, ইস্টার্ন টিউবস পণ্য বাকিতে দেয় না। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাঁদের পণ্য বাকিতে দেয়। এ ছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়সহ নানা সুযোগ-সুবিধাও বেশি দেয়। ফলে ইস্টার্ন টিউবসের পণ্য দোকানে রাখতে গেলে একদিকে যেমন নগদ অর্থ বেশি লাগে, অন্যদিকে লাভ কম হয়। ফলে সরকারি প্রতিষ্ঠানটির বাতি রাখতে তাঁরা তত আগ্রহী নন।

দোকানিরা জানান, ইস্টার্ন টিউবস পণ্য বাকিতে দেয় না। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য বাকিতে দেয়। এ ছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়সহ নানা সুযোগ-সুবিধাও বেশি দেয়। ফলে ইস্টার্ন টিউবসের পণ্য দোকানে রাখতে গেলে একদিকে যেমন নগদ অর্থ বেশি লাগে, অন্যদিকে লাভ কম হয়। ফলে সরকারি প্রতিষ্ঠানটির বাতি রাখতে তাঁরা তত আগ্রহী নন।

এ ছাড়া ইস্টার্ন টিউবসের চার ধরনের বাতির মধ্যে দুটিই টিউবলাইট। দোকানিরা বলছেন, এখন বাজারে টিউবলাইটের চাহিদা কম। বাজারে এখন বাতিতে বৈচিত্র্য এসেছে।

জানতে চাইলে ইস্টার্ন টিউবসের কর্মকর্তারা জানান, আগামী অর্থবছরে আরও পাঁচ ধরনের বাতি বাজারে আনা হবে। সেগুলো হলো এলইডি এসি/ডিসি বাল্ব (বিদ্যুৎ চলে গেলে ২-৩ ঘণ্টা জ্বলবে), এলইডি বাটন লাইট, এলইডি প্যানেল লাইট, এলইডি সড়ক বাতি ও এলইডি ফ্লাড লাইট। এসব বাতি বাজারে এলে বৈচিত্র্য বাড়বে। মান ঠিক রেখে বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এসবের দামও কম নির্ধারণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে, যেন কারও কাছে বাড়তি দাম মনে না হয়।

কর্মকর্তারা আরও বলেন, বিধান না থাকায় দোকানিদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয় না। আর বাকি দিলে টাকা সঠিক সময়ে তোলা সম্ভব হয় না। তাই বাকি দেওয়া হয় না।

এ বিষয়ে কারওয়ান বাজার ইলেকট্রিক ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ইস্টার্ন টিউবসের পণ্যের মান ভালো। কিন্তু তাদের ব্যবস্থাপনা ভালো নয়। মার্কেটিংও (বিপণন) তাদের ভালো নয়। এসব সংকট দূর করতে পারলে পণ্যের দাম বেশি হলেও মান ভালো হওয়ায় তারা বাজার ধরতে পারবে।

সক্ষমতার চেয়ে উৎপাদন কম, এবারও লোকসান

১৯৬৪ সালে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এক একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় ইস্টার্ন টিউবস লিমিটেড। এতে কারিগরি সহায়তা দেয় জাপানের তোশিবা করপোরেশন। তবে এর পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয় ১৯৭০ সালের শেষের দিকে। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে রাষ্ট্রায়ত্ত করা হয়। একই বছর শুরু হয় বাণিজ্যিক উৎপাদন।

ইস্টার্ন টিউবসের বাতি যে একসময় দেশে বেশ জনপ্রিয় ছিল, তার প্রমাণ পাওয়া যায় প্রতিষ্ঠানটির গত ২১ বছরের তথ্য থেকে। ২০০১-০২ অর্থবছরে তারা প্রায় ৯ লাখ ২৩ হাজার বাতি উৎপাদন করেছিল। এর মধ্যে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৯ লাখ ১৬ হাজারটি। অবশ্য এর পর থেকে নিয়মিত বিক্রি ও উৎপাদন কমেছে।

২১ বছরের (২০০১-০২ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর) মধ্যে ইস্টার্ন টিউবস সবচেয়ে কম উৎপাদন করে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে—১ লাখ ৮৩ হাজার ৩১২টি বাতি। সবচেয়ে কম বিক্রি হয় ২০১৯-২০ অর্থবছরে—১ লাখ ৯৮ হাজার ৫১৪টি বাতি। আর ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩ লাখের বেশি বাতি উৎপাদন করেছিল, যা সবশেষ ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

বিক্রি ও উৎপাদন বেশি থাকায় ২০০১-০২ থেকে ২০০৭-০৮ অর্থবছর পর্যন্ত টানা সাত বছর লাভে ছিল ইস্টার্ন টিউবস। এর পরের ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে লোকসানে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। পরে মাত্র দুবার লাভের মুখ দেখে, বাকি ১২ বছর লোকসান দিয়েছে তারা। গত অর্থবছর লোকসান দিয়েছে প্রায় ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, যা গত ৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

বিক্রি ও উৎপাদন বেশি থাকায় ২০০১-০২ থেকে ২০০৭-০৮ অর্থবছর পর্যন্ত টানা সাত বছর লাভে ছিল ইস্টার্ন টিউবস। এর পরের ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে লোকসানে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। পরে মাত্র দুবার লাভের মুখ দেখে, বাকি ১২ বছর লোকসান দিয়েছে তারা। গত অর্থবছর লোকসান দিয়েছে প্রায় ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, যা গত ৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

কিন্তু গত ২১ বছরে কখনোই নিজেদের সক্ষমতা পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারেনি ইস্টার্ন টিউবস। বর্তমানে তাদের বছরে মোট ১৪ লাখ বাতি উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।

ইস্টার্ন টিউবসের ক্রয় ও বিক্রয় নীতিমালা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো নয় উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শামিম আহমেদ বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছ থেকে সরাসরি বাতি কিনতে পারে। সরকারের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তারা কেনে না। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি আমাদের কাছ থেকে বাতি কেনে, তাহলে আমরা লাভে চলে যেতে পারব। এ ছাড়া নানা উদ্যোগ নিয়েছি। এতে আমরা ইতিমধ্যে লোকসান কমিয়ে আনতে পেরেছি।’

বিদ্যুতের অপচয়, দরকার নজরদারি

যেসব বৈদ্যুতিক বাতিতে ‘পাওয়ার ফ্যাক্টর’ বেশি থাকে, সেগুলো বেশি বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাওয়ার ফ্যাক্টর যত কম হবে, সেই বাতি তত বেশি বিদ্যুৎ টানবে। বিদ্যুৎ বেশি টানলে বাতি গরম হয় বেশি। এতে সেসব বাতি তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়। পাওয়ার ফ্যাক্টর কম থাকা বাতির মান ভালো নয়।

বাজারে বিদ্যমান বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বাতিগুলোর মধ্যে কী পরিমাণ পাওয়ার ফ্যাক্টর রয়েছে, তা দেখার জন্য একটি গবেষণা করে ইস্টার্ন টিউবস। ছয় মাস আগে করা সেই গবেষণার অংশ হিসেবে ইস্টার্ন টিউবসের বাতিসহ পাঁচটি ব্র্যান্ডের ২০ ওয়াটের এলইডি টিউবলাইট পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা যায়, ইস্টার্ন টিউবসের বাতিতে পাওয়ার ফ্যাক্টরের পরিমাণ শূন্য দশমিক ৯৫। অন্য চারটির মধ্যে তিনটি ব্র্যান্ডের পাওয়ার ফ্যাক্টর শূন্য দশমিক ৫৪ এবং বাকিটির শূন্য দশমিক ৫৭।

বাল্বের মোড়কে পাওয়ার ফ্যাক্টরের উল্লেখ থাকে। বাজার থেকে দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তিনটি বাতির মোড়কে দেখা যায়, কোনোটিতেই সরকার নির্ধারিত পাওয়ার ফ্যাক্টর নেই। একটি ব্র্যান্ডের ভিন্ন ওয়াটের দুটি বাতিতে দেখা যায়, একটিতে পাওয়ার ফ্যাক্টর রয়েছ শূন্য দশমিক ৫০, আরেকটিতে শূন্য দশমিক ৯০। অন্য ব্র্যান্ডের একটি বাল্বে পাওয়ার ফ্যাক্টর পাওয়া যায় শূন্য দশমিক ৫০। একটি ব্র্যান্ডের বাল্বের মোড়কে পাওয়ার ফ্যাক্টরের তথ্য পাওয়া যায়নি।

একটি বাতিতে পাওয়ার ফ্যাক্টর কত থাকবে, তা নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। এ বোর্ডের ৬২১তম সভায় বলা হয়েছে, প্রতিটি বাতিতে পাওয়ার ফ্যাক্টর শূন্য দশমিক ৯৫ থেকে ১-এর মধ্যে রাখতে হবে। এর নিচে পাওয়ার ফ্যাক্টর হলে সার চার্জ দিতে হবে।

বাল্বের মোড়কে পাওয়ার ফ্যাক্টরের উল্লেখ থাকে। বাজার থেকে দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তিনটি বাতির মোড়কে দেখা যায়, কোনোটিতেই সরকার নির্ধারিত পাওয়ার ফ্যাক্টর নেই। একটি ব্র্যান্ডের ভিন্ন ওয়াটের দুটি বাতিতে দেখা যায়, একটিতে পাওয়ার ফ্যাক্টর রয়েছ শূন্য দশমিক ৫০, আরেকটিতে শূন্য দশমিক ৯০। অন্য ব্র্যান্ডের একটি বাল্বে পাওয়ার ফ্যাক্টর পাওয়া যায় শূন্য দশমিক ৫০। একটি ব্র্যান্ডের বাল্বের মোড়কে পাওয়ার ফ্যাক্টরের তথ্য পাওয়া যায়নি।

ইস্টার্ন টিউবসের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা ছাড়া বাজারের কোনো প্রতিষ্ঠান সরকারি এ নির্দেশনা মেনে চলে না। পাওয়ার ফ্যাক্টর কম হলে বিদ্যুৎ বেশি লাগে। ফলে প্রতি মুহূর্তে সারা দেশে প্রচুর বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে।

প্রায় একই মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সুব্রত কুমার। বাজারে থাকা বৈদ্যুতিক বাতিগুলোয় পাওয়ার ফ্যাক্টর কম থাকায় দেশে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বাতির পাওয়ার ফ্যাক্টর শূন্য দশমিক ৯৫ করতে গেলে তাদের খরচ বেশি পড়ে যাবে। তাই সেটা তারা করে না।

অধ্যাপক সুব্রত কুমার বলেন, সরকার নজিরদারিও করে না। বাজারে আসার আগে পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমতি নিতে হয়। সেখানেই আটকে দেওয়ার কথা। সেটা করা হয় কি না, জানি না।

আরও পড়ুন