চীনের জিডিআইয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বাংলাদেশ: চীনের রাষ্ট্রদূত

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন
ছবি: চীন দূতাবাস

প্রায় মাস ছয়েক আগে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগে (জিডিআই) যুক্ত হতে বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছিল চীন। জিডিআইয়ে কী আছে, এর গুরুত্ব কতটা, এতে যুক্ত হলে কী ধরনের সুফল পাওয়া যাবে, তা বাংলাদেশ যাচাই–বাছাই করলেও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। কিন্তু ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন মঙ্গলবার দাবি করেন, জিডিআইয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চীন দূতাবাস আয়োজিত স্প্রিং ডায়ালগ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ইয়াও ওয়েন এ তথ্য জানান। গত বছরের আগস্টে ঢাকা সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠককালে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বাংলাদেশকে জিডিআইয়ে যুক্ত হওয়ার অনুরোধ করেন। পরে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, চীনের এই অনুরোধ যাচাই করে দেখা হবে।

বাংলাদেশ জিডিআইয়ের অনুরোধে সাড়া দিয়েছে কি না, জানতে চাইলে ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘বিশ্বের সব দেশ যেন উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির জন্য একযোগে কাজ করে, এ জন্য জিডিআই গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশকে অবশ্যই এতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা অবশ্যই এখানে বাংলাদেশের সহযোগিতা চাই। আমি যতটা জানি, বাংলাদেশের কাছ থেকে আমরা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। সুনির্দিষ্ট কিছু খাতে কীভাবে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করা যায় তা নিয়ে আমরা এখন আলোচনা করব। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।’

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈশ্বিক নিরাপত্তার উদ্যোগ (জিএসআই)। সম্প্রতি এই উদ্যোগের ধারণাপত্র প্রকাশ করেছে চীন। ওই ধারণাপত্রের উপাদানগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, উন্নয়ন এবং শান্তি হাত ধরাধরি করে চলে। শান্তি ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর উন্নয়ন ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা অসম্ভব। এটাই মূল ভিত্তি। চীন শান্তি ও উন্নয়নে অবদানের জন্য এসব উদ্যোগ নিয়েছে। জিএসআইয়ের ধারণাপত্রের মূল উপাদানগুলো হচ্ছে সব দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা। জাতিসঙ্ঘ সনদের পূর্ণ বাস্তবায়ন। শান্তি ও রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে সংঘাতের অবসান।

ইয়াও ওয়েনের মতে, সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে যে শান্তি চুক্তি হয়েছে, সেটি গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ বা জিএসআইয়ের অংশ। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস আছে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ জিএসআইয়ে সাড়া দেবে।’

আরও পড়ুন