মোবাইল টাওয়ার অপারেটর ই-ডটকোর ওপর বিটিআরসির বিধিনিষেধ

মোবাইল টাওয়ার
ফাইল ছবি

মোবাইল টাওয়ার অপারেটর ই–ডটকোকে সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার বা তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাসম্পন্ন পরিচালনাকারী (এসএমপি অপারেটর) হিসেবে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অপারেটরটির ওপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, ই–ডটকো মোবাইল অপারেটরদের জন্য কত টাওয়ার বসাতে পারবে, কত টাওয়ার কিনতে পারবে বা ইজারা নিতে পারবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। একটি মোবাইল অপারেটর যদি একটি প্রান্তিকে ১০০টি টাওয়ার তৈরি করে, তার ২৫টি তৈরির দায়িত্ব দিতে পারবে ই–ডটকোকে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বুধবার রাতে প্রথম আলোকে বিধিনিষেধ জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

টেলিযোগাযোগ খাতে একটি প্রতিষ্ঠান যদি বাজারের বড় অংশের নিয়ন্ত্রক হয়, তাহলে বিটিআরসি বাজারে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। টেলিযোগাযোগ খাতে এখন চারটি টাওয়ার কোম্পানির মধ্যে ই–ডটকোই বাজারে সবচেয়ে বড় হিস্যাধারী। বাকিদের ব্যবসা তাদের তুলনায় অনেক ছোট। অপারেটরগুলো ই–ডটকোর সঙ্গেই ব্যবসায় আগ্রহী বলে দেখা গেছে।

দেশে এখন চারটি মোবাইল অপারেটর রয়েছে—গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটক। একসময় এই অপারেটরগুলো নিজেরা মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য টাওয়ার বসাত। ২০১৮ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চারটি টাওয়ার কোম্পানিকে লাইসেন্স দেয়। ই–ডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, সামিট টাওয়ারস লিমিটেড, কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড ও এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেড—এই চার প্রতিষ্ঠান এখন টাওয়ার বসানো ও পরিচালনা করছে। যদিও রাজস্বের দিক দিয়ে ই–ডটকোর বাজারহিস্যা ৯৮ শতাংশের মতো। অন্যদিকে তাদের টাওয়ার সংখ্যা মোট টাওয়ারের ৮৫ শতাংশের বেশি।

মালয়েশিয়াভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ই–ডটকোর মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, মিয়ানমার ও লাওসে ব্যবসা রয়েছে। এটির মূল মালিক প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়া আজিয়াটা বারহাদ। আজিয়াটা আবার বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটর রবির বেশির ভাগ শেয়ারের মালিক।

মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনার জন্য এলাকাভিত্তিক বেজ ট্রান্সসিভার স্টেশন বা বিটিএস বসানো হয়, যা মোবাইল টাওয়ার নামে পরিচিত। ই–ডটকোর ব্যবসায় বিধিনিষেধ আরোপ করায় এখন মোবাইল অপারেটরগুলো সামিট টাওয়ারস লিমিটেড, কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড ও এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেডকে ব্যবসা দিতে বাধ্য হবে।