রূপগঞ্জে আ.লীগ ও যুবলীগ নেতার দ্বন্দ্বের জেরে দোকানে লুট, কার্যালয় ভাঙচুর
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়ন যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতার মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে দোকান লুট, যুবলীগ কার্যালয় ভাঙচুর ও তিনজনকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের শিমুলিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দাউদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আজিজুল মালুমের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলামের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। রূপগঞ্জ থানা যুবলীগের কার্যকরী সদস্য ইসমাইল হোসেন আজিজুল মালুমের পক্ষে এবং সাইফুল ইসলামের পক্ষে ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ। এ দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে শিমুলিয়া বাজার এলাকায় দোকান লুট, যুবলীগ কার্যালয় ভাঙচুর ও তিনজনকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
আজিজুল মালুম প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলামের মালিকানাধীন হিরা মার্কেটে সরকারি গভীর নলকূপের পানির লাইন আছে। পানির বিল তোলার দায়িত্বে থাকা জহিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি গতকাল শনিবার তাঁর মার্কেটে পানির বিল তুলতে গেলে সাইফুলের ভাই সফিকুল বিল না দিয়ে জহিরুলকে মারধর করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে যুবলীগের ইসমাইল হোসেনকেও মারধর করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, ‘সাইফুল গতকাল রাতে রূপগঞ্জ থানায় আমাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। আমি ঘটনার মীমাংসা করতে চাইলে তা না করে আজ আবার তারা জহিরুলের একটি ইলেকট্রনিকসের দোকান ও আমাদের যুবলীগ কার্যালয় ভাঙচুর করেছে।’
অভিযোগের বিষয়ে সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজিজুলদের বাহিনীর কারণে এলাকায় কেউ শান্তিতে থাকতে পারে না। সরকারি গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ বিলের নামে তারা বাজারের ৪০০ দোকান থেকে সপ্তাহে ১০০ টাকা করে বিল নেয়।
বাজারের কেউ ভয়ে এর প্রতিবাদ করে না। গতকাল আমার দোকানে বিল নিতে এলে আমার ভাই সাইফুল বিষয়টির প্রতিবাদ করে। এর জেরে ইসমাইল ও আজিজুল তাদের বাহিনী নিয়ে আমার ভাই ও ভাগনেকে মারধর করে দোকান লুট করে। এ সময় তারা আমার ভাগনে মো. বাদশাকে (২৫) টেঁটা দিয়ে আঘাত করে। পরে আমি বাজারে এসে বিষয়টি জানার পর আজিজুল ও ইসমাইলের কাছে এর কারণ জানতে চাই। এ নিয়ে তর্কের জেরে আজিজুল বাহিনী আমার বাড়িতে হামলা চালায়। পরে গতকাল রাতে এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা করি।’
নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) আবির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। এলাকায় যেন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে।