কেরানীগঞ্জে এক পরিবারের দগ্ধ ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেলেন

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট
ফাইল ছবি

কেরানীগঞ্জে একই পরিবারের দগ্ধ ছয়জনের মধ্যে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হলো। আজ মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোনিয়া বেগম (২৬)। তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সোনিয়ার শরীরের ২৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি ছিলেন। এ ঘটনায় দগ্ধ ইয়াসিন নামের এক কিশোরও চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

গত ৩০ আগস্ট ভোরে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়নের মান্দাইল জেলেপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে গ্যাসের চুলার ছিদ্র থেকে আগুন লাগে। এতে একই পরিবারের শিশুসহ ছয়জন দগ্ধ হয়। এর মধ্যে মোছা. বেগম, তাঁর মেয়ে সোনিয়া বেগম, সোনিয়ার মেয়ে মরিয়ম, মোছা. বেগমের নাতি শাহজাদা (বেগমের মেয়ে সালমার সন্তান) ও বেগমের ননদ পান্না বেগম মারা গেছেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা দগ্ধ ব্যক্তিদের স্বজন আসমানী বেগম জানান, ঘটনার দিন ভোরে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ইয়াসিন বাথরুমে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল। তার শরীরে হঠাৎ রান্নাঘরের গ্যাসের চুলার ছিদ্র থেকে আগুন লেগে যায়। পরে সারা ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহে গ্যাসের চুলায় আগুন ধরাতে গিয়ে এতে দগ্ধ হয়েছিলেন শাহাজাদা। পরে বাড়িওয়ালা এসে নতুন চুলা ঠিক করে দেন। তাঁদের ধারণা, গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে যেকোনোভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় এ দুর্ঘটনা হয়েছে।