নির্বাচন বানচালের চেষ্টা রোধের আহ্বান ৯১ বিশিষ্ট নাগরিকের

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা রোধের আহ্বান জানিয়েছেন ৯১ জন বিশিষ্ট নাগরিক। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিক, প্রকৌশলী, সাবেক আমলা, সেনা ও নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা এবং সাবেক পুলিশ কর্মকর্তারা রয়েছেন।

৯১ নাগরিকের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা সচেষ্ট।

একটি মহল নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৯ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর কর্মী-সমর্থকেরা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিপুলসংখ্যক যানবাহন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নজিরবিহীন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করছেন।

৯১ বিশিষ্ট নাগরিক বলেছেন, রাজনীতির নামে দুর্বৃত্তদের এ ধরনের নৃশংস বর্বরতা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এসব নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিরোধ করে দেশের চলমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করা।

রাজনীতির আড়ালে সক্রিয় উন্নয়ন ও প্রগতিবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশের সচেতন নাগরিকদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ দেশের সব নাগরিককে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম, শিক্ষক ও গবেষক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ টি আহমেদুল হক, সাবেক আইজিপি ও রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ শহীদুল হক, সাবেক সচিব সেলিনা আফরোজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও মো. আখতারুজ্জামান, লেখক ও গবেষক শাহরিয়ার কবির, সাবেক সচিব বীর প্রতীক মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোল্লা ফজলে আকবর, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবদুল ওয়াদুদ, শিল্পী হাশেম খান, রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) এ কে এম আজাদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. আবদুল হান্নান, সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাবেক সভাপতি ইকবাল আর্সলান, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মো. আছাদুজ্জামান মিয়া প্রমুখ।