ডিম, মুরগির দাম বাড়তির দিকে

ডিমের দাম মাসখানেক আগে অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়েছিল। তারপর নেমে আসে আগের দামে। এখন আবার কিছুটা বাড়তির দিকে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দামও।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী, মালিবাগ বাজার ঘুরে এই চিত্র পাওয়া গেছে। এসব বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের খুচরা দাম এখন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। ফার্মের মুরগির সাদা ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। দু-তিন দিনের ব্যবধানে এই দুই ধরনের ডিমেই ডজনপ্রতি দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। তবে বাজারে দেশি হাঁস ও মুরগির ডিমের দাম বাড়েনি। এসব ডিমের দাম রাখা হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা ডজন।

মালিবাগ বাজারের এক পাইকারি ডিম বিক্রেতা প্রথম আলোকে বলেন, দিন দু-এক হলো ডিমের দাম বাড়তি। তবে এবার দাম উঠছে ধীরে ধীরে। বাজারে ডিমের সরবরাহের কোনো সংকট নেই। সুতরাং আশা করা যায়, দাম আগের মতো উঠবে না।

দু-তিন দিন আগে ব্রয়লার মুরগির দাম রাখা হচ্ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। গতকাল সেটা বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। কোথাও কোথাও ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। বেড়েছে সোনালি মুরগির দামও। ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা কেজির সোনালি মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়।

বাংলাদেশ এগ প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এর আগেও একটি চক্র বাজার কারসাজি করে ডিমের দাম বাড়িয়েছিল। আবার দাম বাড়ার পেছনে তাদের হাত আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। বাজার তদারকি যেন সব সময় অব্যাহত থাকে।’

এদিকে বাজারে মোটা ও মাঝারি চালের দাম কেজিতে এক-দুই টাকা কমে আবার থমকে গেছে। এখন মোটা চাল স্বর্ণা ও চায়না ইরির দাম ৫৩ টাকা, পাইজাম ৫৬ টাকার কাছাকাছি, বিআর-২৮ চাল ৫৭ থেকে ৫৮ টাকা, মিনিকেট চাল কম দামেরটা ৬৯ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল চালের দাম ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা কেজি।

বাজারে সবজির দাম এখন কিছুটা সহনীয়। শিম ছাড়া বাকি সবজির কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কাঁচা মরিচের দাম একেবারে নাগালের মধ্যে। বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। গরুর মাংসের দাম ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি। খাসির মাংস মানভেদে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। পাঙাশ ও তেলাপিয়ার কেজি ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা।

রাজধানীর মহাখালী বাজারে সদাই করতে আসা নিরাপত্তাকর্মী লিয়াকত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম কমতে শুনিনি। শুধু বাড়তেই থাকে। এতে আমার মতো নিম্ন আয়ের মানুষকে ধারদেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে।’