এ বছর ‘চোখ-কান খোলা’ রাখবে দুদক
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, নির্বাচনের বছরে সব প্রার্থীর হলফনামায় যে সম্পদ বিবরণী থাকে, তা খতিয়ে দেখবে কমিশন। এই বছর চোখ-কান খোলা রাখবেন তাঁরা। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় দুদক কার্যালয়ে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন নিয়ে দুদকের চেয়ারম্যান কমিশনারদের সঙ্গে করে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে আসেন। গতকাল সোমবার প্রতিবেদনটি রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, রাষ্ট্রপতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নিতে বলেছেন। দুদক স্বচ্ছতার সঙ্গে সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছে, এই বিষয় রাষ্ট্রপতিকে অবগত করা হয়েছে।
দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, ‘মামলা, তদন্ত, অনুসন্ধান—সবকিছুই বেড়েছে। আমাদের তথ্য কথা বলবে। এগুলো সংরক্ষিত আছে। আপনারা বিবেচনা করবেন।’
বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত এক বছরে কমিশনে ১৯ হাজার ৩৩৮টি অভিযোগ জমা পড়ে। যাচাই-বাছাই করে এর ৯০১টি অনুসন্ধানের জন্য নিয়েছে দুদক। অনিয়ম সংগঠিত হলেও দুদকের এখতিয়ারভুক্ত না হওয়ায় ৩ হাজার ১৫২টি অভিযোগের বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ৩৪৬টি মামলা নিষ্পত্তি করেছে দুদক।
দুদকের কমিশনার মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘আমাদের বার্ষিক প্রতিবেদন সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি। এখানে কোনো আবেগ কিংবা অতিরঞ্জিত কিছু নেই। দুদক আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী, ভেতরে ও বাইরে এর কার্যকর ক্ষমতা অনেক বেড়েছে।’
আরেক কমিশনার জহুরুল হক বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি বাড়েনি, কমেছে। তবে অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি বন্ধ করতে পারিনি। মামলা পরিচালনার ক্ষমতা কমেছে, এটা মিথ্যা কথা। কারণ, মানি লন্ডারিং মামলায় ১০০ ভাগ সাফল্য, অন্যান্য মামলায় সাজার পরিমাণ ৬৭ ভাগ থেকে ৭০ ভাগ দুদকের পক্ষে। আগের চেয়ে মামলার তদন্ত ও পরিচালনায় অনেক বেশি সক্ষম দুদক।
অনুষ্ঠানে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।