বিশেষ সাক্ষাৎকার: রাশিদুল হক ও বেথ কার্কপ্যাট্রিক

এনআইএইচের ডেঙ্গুর টিকা আশা জাগাচ্ছে

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ডেঙ্গু রোগের টিকার দ্বিতীয় পর্যায়ের সফল পরীক্ষা হয়েছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) ও যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউভিএম) লার্নার কলেজ অব মেডিসিনের গবেষকেরা এই টিকার সফল ট্রায়াল (পরীক্ষা) করেছেন। টিকার পরীক্ষা, ভবিষ্যৎ, এর উৎপাদনসহ নানা দিক নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন আইসিডিডিআরবির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ও ডেঙ্গুর টিকার পরীক্ষার নেতৃত্বদানকারী রাশিদুল হক এবং ভারমন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ও মলিকুলার জেনেটিকস বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক বেথ কার্কপ্যাট্রিক। দুজনের সঙ্গে কথা বলেছেন পার্থ শঙ্কর সাহা

আইসিডিডিআরবির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী রাশিদুল হক (ডানে) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বেথ কার্কপ্যাট্রিক। সম্প্রতি ঢাকার আইসিডিডিআরবি কার্যালয়ে
ছবি: আইসিডিডিআরবি
প্রশ্ন:

বিশ্বে ডেঙ্গুর অন্তত দুটি টিকার (ডেঙ্গভ্যাক্সিয়া ও কিউডেঙ্গা) বাণিজ্যিক উৎপাদন ও ব্যবহার আছে। পাশাপাশি আপনারা যে টিকা নিয়ে (টিভি-০০৫) কাজ করেছেন, তার পরীক্ষা চলছে বিভিন্ন দেশে। এ জন্য এই টিকাকে বেছে নিলেন কেন?

রাশিদুল হক: যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ এবং ইউনিভার্সিটি অব ভারমন্ট ও জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সঙ্গে আইসিডিডিআরবি যৌথভাবে ডেঙ্গুর একটি টিকার পরীক্ষা করেছে। এই টিকা উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো শুরু থেকেই কাজ করছে। এ টিকার প্রাথমিক নানা গবেষণা তারা করেছে। ডেঙ্গুর এই টিকার নানা গবেষণা ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ছাড়াও ভারমন্ট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের সঙ্গে ২০০২ সাল থেকে আইসিডিডিআরবি বিভিন্ন গবেষণায় একসঙ্গে কাজ করছে। তাই আমরা যৌক্তিকভাবেই তাদের সঙ্গে এই টিকা (টিভি-০০৫) নিয়ে একসঙ্গে কাজ করেছি।

প্রশ্ন:

টিভি-০০৫ টিকার দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা আপনারা শেষ করেছেন। এই পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে কিছু বলুন।

রাশিদুল হক: শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সবার মধ্যে এই টিকা কতটুকু নিরাপদ এবং এর মাধ্যমে কতটা অ্যান্টিবডি তৈরি হতে পারে, সেটা দেখাই আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল। আমাদের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় আমরা দেখেছি, ডেঙ্গুর চারটি ধরনের বিপরীতেই ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যথেষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে এই টিকা কতটা কার্যকর, তা দেখতে বড় পরিসরে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা করতে হবে।

প্রশ্ন:

আপনারা এই টিকার প্রয়োগ যতসংখ্যক মানুষের ওপর করেছেন, তুলনামূলক সেই সংখ্যা কম ছিল। এটি এই পরীক্ষার একটি সীমাবদ্ধতা, গবেষণাপত্রে আপনারা তা স্বীকারও করেছেন। তারপরও টিকার সফল পরীক্ষা হয়েছে বলা যায়?

বেথ কার্কপ্যাট্রিক: দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা এমন সীমিত পরিসরেই করা হয়। কারণ, এখানে নিরাপত্তা ও এটি কতটুকু অ্যান্টিবডি তৈরি করছে, সেটা দেখাই মুখ্য। এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রত্যেককেই অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হয়। কারণ, বড় আকারের পরীক্ষায় যাওয়ার আগে এখানে অংশগ্রহণকারীর নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। টিকা নিরাপদ হলেই শুধু তা বেশি মানুষের মধ্যে প্রয়োগের বিষয়ে ভাবা হয়। এই টিকার পরীক্ষা এখানেই শেষ হচ্ছে না। এটি একটি ধাপমাত্র।

টিভি-০০৫ টিকাটি তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ (এনআইএইচ)। তাদের বিজ্ঞানীরা শুধু প্রথম ও দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা ছোট আকারে করার বিষয়েই সহায়তা দেয়। টিকা উৎপাদনে সক্ষম কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে বড় আকারের পরীক্ষা করতে হবে।

এখানে আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, কোনো ওষুধ কোম্পানি নয়। তারা বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিকে তাদের টিকা উৎপাদনের অনুমিত দেয়। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি টিকাটি উৎপাদন করতে পারে। ইতিমধ্যে নানা দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এই টিকা উৎপাদনের অনুমোদন পেয়েছে। অনেকে অনুমোদনের প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। এসব কোম্পানির মধ্যে আছে ব্রাজিলের ভুটানটান, যুক্তরাষ্ট্রের মার্ক, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট, আরেক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান প্যানেসিয়া বায়োটেক। এ ছাড়া আরও কিছু প্রতিষ্ঠান এই টিকা উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছে।

প্রশ্ন:

এই টিকার (টিভি-০০৫) পরীক্ষা অন্যান্য দেশেও চলেছে। বাংলাদেশে প্রাপ্ত ফলাফলের সঙ্গে তাদের মিল–অমিল কী?

বেথ কার্কপ্যাট্রিক: এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দেশে এই টিকার পরীক্ষা হয়েছে। তবে দেশভেদে টিকার পরীক্ষার ফলাফলে তেমন বড় ধরনের পার্থক্য দেখা যায়নি। এটা নিঃসন্দেহে একটা ভালো খবর। বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য আমাদের এ বার্তাই দিচ্ছে। সুতরাং এনআইএইচ-আইসিডিডিআরবির টিকা নিয়ে আমরা আশাবাদী।

প্রশ্ন:

ডেঙ্গুর চারটি ধরনের সব কটির ক্ষেত্রেই এই টিকায় অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এটাই কি একমাত্র টিকা, যাতে চার ধরনের পরিমিত মাত্রায় অ্যান্টিবডি তৈরির নজির সৃষ্টি হয়েছে?

বেথ কার্কপ্যাট্রিক: ডেঙ্গুর একটি আদর্শ টিকার চারটি ধরনের বিরুদ্ধেই শক্তিশালী প্রতিরোধক্ষমতা থাকা দরকার। ফলে যেকোনো ধরনের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে এ টিকা মানুষকে সুরক্ষা দিতে পারে। এই টিকা ডেঙ্গুর চার ধরনের ক্ষেত্রেই একই ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে। এখন যে দুটি টিকা আছে, তারাও চারটি ধরনেই অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে। কিন্তু চার ধরনের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে একটি করে ধরনের বিরুদ্ধে বেশি মাত্রায় অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে। এর মধ্যে ডেঙ্গভ্যাক্সিয়া ডেঙ্গুর ধরন-৪ এবং কিউডেঙ্গা ধরন-২–এর বিরুদ্ধে বেশি মাত্রায় অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে।

প্রশ্ন:

টিকাটির তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা হয়েছে বলে শুনেছি। তার ফলাফল সম্পর্কে বলবেন?

বেথ কার্কপ্যাট্রিক: এই টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আংশিকভাবে ব্রাজিলে হয়েছে। যেসব ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এসব টিকা উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছে, তারাই তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শেষ করবে।

ব্রাজিলে এই পরীক্ষার সময় সেখানে শুধু ডেঙ্গুর ১ এবং ২ ধরন ছড়িয়েছিল। ফলে সেখানকার ট্রায়ালে ডেঙ্গুর ১ এবং ২ ধরনের ক্ষেত্রে কার্যকারিতা লক্ষ করা গেছে। সব বয়সীর ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা প্রায় ৮০ শতাংশ। ডেঙ্গুর এ পর্যন্ত যতগুলো টিকা এসেছে, তার মধ্যে কার্যকারিতার দিক থেকে এই হার সর্বোচ্চ। তবে ডেঙ্গুর ৩ ও ৪ নম্বর ধরনের বিরুদ্ধে এটি কতটুকু কার্যকর, সে তথ্য আমাদের হাতে নেই। কারণ, সেখানে ডেঙ্গুর এই দুটি ধরন ছড়ায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের মার্ক কোম্পানি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন অংশে এই টিকার তৃতীয় ধাপের আরেকটি পরীক্ষার পরিকল্পনা করছে। ভারতের বিভিন্ন এলাকায় এই টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার পরিকল্পনা আছে প্যানেসিয়া বায়োটেকেরও।

প্রশ্ন:

এখন বাণিজ্যিকভাবে যেসব টিকা চালু আছে, সেগুলোর কার্যকারিতা কেমন?

বেথ কার্কপ্যাট্রিক: এখন বিভিন্ন দেশে ডেঙ্গুর দুটি টিকা পাওয়া যায়। এর মধ্যে আছে ডেঙ্গভ্যাক্সিয়া (সানোফি) আর কিউডেঙ্গা (তাকেদা)। এককথায় বলা যায়, যাদের অন্তত একবার ডেঙ্গু হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে দুটি টিকাই খুব ভালো। কিন্তু দুটি টিকাই ডেঙ্গুর সব ধরনের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। আবার যাদের ডেঙ্গু হয়নি, তাদের ক্ষেত্রে কতটুকু কার্যকর হবে, তা নিয়েও আছে সংশয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে শিশুরা।

আপনি হয়তো জানেন, ফিলিপাইনে ডেঙ্গভ্যাক্সিয়া টিকা দেওয়া অনেক শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। তাই এখন এই টিকা এমন ব্যক্তিরাই নিতে পারেন, যাঁদের আগে একবার ডেঙ্গু হয়েছে, যা পরীক্ষা করে নিশ্চিত করা হয়। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত না হলে এই টিকা দেওয়া
যায় না।

কিউডেঙ্গা টিকাটি অপেক্ষাকৃত নতুন এবং এটা ডেঙ্গুর ধরন-২–এর বিরুদ্ধে বেশ কার্যকর। কিন্তু এটি ধরন-৩–এর ক্ষেত্রে অনেকটা দুর্বল। আবার ধরন-৪–এর বিরুদ্ধে এটি কতটুকু কার্যকর, সে ব্যাপারে যথেষ্ট তথ্য নেই।

প্রশ্ন:

বাংলাদেশে টিভি-০০৫ টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা কবে হবে? এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পর্কে কিছু বলবেন?

রাশিদুল হক: এই পরীক্ষা করতে গেলে কোনো ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে করতে হবে। যদি বাংলাদেশ সরকার অন্য জায়গায় করা তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফলাফল গ্রহণ করে, তবে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা বাংলাদেশে করার ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না। বাংলাদেশে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা অব্যাহত আছে।

প্রশ্ন:

টিকার উন্নয়ন ও এর সফল পরীক্ষার পর টিকার দামের বিষয়টি বড় করে আলোচনায় আসে। ভারত ও ভিয়েতনামে টিভি-০০৫ টিকা বাজারজাত করার অনুমতি পেয়েছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। আমাদের দেশের আর্থসামাজিক বিবেচনায় এই টিকা কতটুকু সাশ্রয়ী হবে?

রাশিদুল হক: দামের বিষয়টি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে টিকার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের আলোচনার ভিত্তিতে ঠিক হয়ে থাকে। প্রতিবছর কোটি কোটি ডোজ টিকা তৈরির ফরমায়েশ থাকলে দাম কম হবে।

প্রশ্ন:

ডেঙ্গুর টিকা নিয়ে মানুষের আগ্রহ ব্যাপক। আমরা ডেঙ্গু নিয়ে এখন যে অবস্থায় আছি, তাতে বিষয়টি স্বাভাবিক। আমরা টিভি-০০৫ টিকা কবে নাগাদ পেতে পারি?

বেথ কার্কপ্যাট্রিক: কোনো ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বা টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এটি তৈরির অনুমোদন পাওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। এরপর বাংলাদেশ সরকার ঠিক করবে, এই টিকা তাদের জন্য দরকারি কি না।

প্রশ্ন:

যে দেশে টিকার পরীক্ষা হয়, সে দেশ টিকাপ্রাপ্তি ও দামের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় পাবে কি? আমরা কি তেমন সুযোগ পাব?

রাশিদুল হক: টিকা পাওয়ার বা দামের ক্ষেত্রে আমরা সুবিধা পাব কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। এটা মূলত ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানে ও সরকারের সমঝোতার ওপর নির্ভর করবে।

প্রশ্ন:

বাংলাদেশ টিকায় চ্যাম্পিয়ন একটি দেশ। সর্বশেষ করোনার টিকার ক্ষেত্রে আমরা সেই প্রমাণ দেখেছি। টিকাটি যখন বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হবে, তখন একচেটিয়া ব্যবসা বন্ধে বিজ্ঞানী হিসেবে আপনাদের কিছু করণীয় কি থাকবে না?

রাশিদুল হক: কোভিড-১৯ টিকাদানে সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ অবশ্যই অভিনন্দন পেতে পারে। বিজ্ঞানী হিসেবে আমরা সেরা টিকার বিষয়েই সব সময় কথা বলব। এরপর সরকার ও ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা দাম কম রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করব। যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়, তাদের জন্য টিকা যাতে সহজলভ্য করা যায়, সে বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে।

প্রশ্ন:

আপনাদের দুজনকে ধন্যবাদ।

রাশিদুল হক: আপনাকেও ধন্যবাদ।