স্বাধীনতা দিবসে চীনের প্রেসিডেন্ট ও রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং (বাঁয়ে) ও রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন
ছবি: রয়টার্স

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দনবার্তা পাঠিয়েছেন।

সি তাঁর বার্তায় বলেন, বিগত ৫৩ বছরে বাংলাদেশ অবিচলভাবে তার স্বাধীনতাকে সমুন্নত রেখেছে। অর্থনীতির উন্নয়ন এবং জনগণের জীবিকা উন্নত করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে এবং সোনার বাংলা নির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়নে একটি দৃঢ়ভিত্তি স্থাপন করে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, চীন ও বাংলাদেশ ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী এবং দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশ দৃঢ় ও গভীর রাজনৈতিক বিশ্বাস এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ ব্যবহারিক সহযোগিতা উপভোগ করেছে, যা দুই দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা নিয়ে এসেছে।

প্রেসিডেন্ট সি বলেন, তিনি চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিতে এবং দুই দেশের সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও গভীর করতে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।

একই দিনে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে পৃথক অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।

এদিকে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে  বলেছেন, ‘রাশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অভিনন্দন।’ তিনি বলেন, রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার চেতনায় বিকশিত হচ্ছে। দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এগিয়ে যাচ্ছে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে নানা যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করলে বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী এবং উভয়ের স্বার্থ রক্ষা হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও তাঁর দায়িত্বশীল কাজে নতুন সাফল্য কামনা করেন। পাশাপাশি বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশের জনগণের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।