কোয়ার্টস পাউডার মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কি না, অনুসন্ধানের নির্দেশ
কোয়ার্টস পাউডারে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদান আছে কি না, তা অনুসন্ধানে এক সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্যের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। অনুসন্ধান শেষে এক মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
একটি স্টিল মিলের ক্র্যাশিং সেকশনে ‘কোয়ার্টস পাউডার’ তৈরির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে শ্রমিকদের মৃত্যু নিয়ে গণমাধ্যমে আসা এমন অভিযোগ তদন্তে আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন এবং নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনা চেয়ে করা এক রিটের শুনানিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।
‘রহিম স্টিল মিলে “মৃত্যুকূপ” ও ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে জামাকন তদন্ত কমিটি’ শিরোনামে ২০১৬ সালে একটি দৈনিকে এবং ‘তিন সংস্থার তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি আট বছরেও’ শিরোনামে গত ২৫ এপ্রিল অপর একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন দুটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী লুৎফর রহমান গত ২৩ মে রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নেওয়াজ মোরশেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
শুনানিতে আইনজীবী নেওয়াজ মোরশেদ বলেন, রহিম স্টিল মিলে স্টোন ক্র্যাশিং ইউনিটে কোয়ার্টস পাউডার তৈরি হতো। এটি মূলত পার্টিকেল বোর্ড, সিরামিক ও স্টিল তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এটি আগে আমদানি করা হতো। হঠাৎ করে রহিম স্টিল মিল এটি উৎপাদন শুরু করেছিল। উৎপাদন করতে গিয়ে স্টোন ক্র্যাশিং ইউনিট করে তারা।
আদালত বলেন, এই পাউডারে কী কী উপাদান আছে, জানেন? তখন আইনজীবী বলেন, পাউডারের প্রভাব অর্থাৎ এই পাউডার ফুসফুসে গেলে তা নষ্ট করে ফেলে। ১০ বছরে শতাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে ও দুই শতাধিক অসুস্থ হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে এসেছে। কোয়ার্টস পাউডার দেহে প্রবেশ করলে ফুসফুসে রক্ত জমে। চোখ শুকিয়ে আসে। ড্রামাটাইটিজ, আর্থ্রাইটিস হয়। এতে মৃত্যুও হতে পারে। পরে আদালত ওই আদেশ দেন।