চবির চারুকলার শিক্ষার্থীদের আবার সড়ক অবরোধ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাদশা মিয়া সড়ক অবরোধ করেন
ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার দাবিতে আবার সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের সামনের বাদশা মিয়া সড়ক অবরোধ করেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা। বেলা ১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছিল। একই দাবিতে ১০ নভেম্বর তাঁরা এই সড়ক অবরোধ করেছিলেন।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের সামনের সড়কে বসে আছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের সামনে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড। এতে লেখা, ‘চারুকলাকে ফিরিয়ে নাও’, ‘২১০০ একরে চারুকলা কই’, ‘কলেজ নয় বিশ্ববিদ্যালয় চাই’, ‘২১০০ একর জানে না চারুকলার ঠিকানা’ ইত্যাদি স্লোগান। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান তুলে তাঁদের দাবি জানাচ্ছেন।

ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী আলম প্রথম আলোকে বলেন, ১০ নভেম্বর সড়ক অবরোধের পর উপাচার্য শিরীন আখতার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি ১১ নভেম্বর বিকেল ৪টার মধ্যে চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়া বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছিলেন।

কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁরা কোনো সিদ্ধান্ত পাননি। তাই তাঁরা বাধ্য হয়ে আবার সড়ক অবরোধ করেছেন।

ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শহীদ প্রথম আলোকে বলেন, চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

দাবি আদায়ে ১৬ নভেম্বর ইনস্টিটিউটের মূল ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ করেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা। মূলত সেদিন থেকে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম কার্যত বন্ধ।

শ্রেণিকক্ষে পলেস্তারা খসে পড়ার জেরে ১১ দফা দাবিতে ২ নভেম্বর ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ শুরু করেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। ক্লাস বর্জনের পাশাপাশি তাঁরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন।

৫ নভেম্বর থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি এক দফায় রূপ নেয়। ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য এদিন উপাচার্য বরাবর চিঠি দেন শিক্ষার্থীরা।

চবিতে চারুকলা বিভাগের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭০ সালে। ২০১০ সালে নগরের সরকারি চারুকলা কলেজের সঙ্গে এক হয়ে গঠিত হয় চারুকলা ইনস্টিটিউট। ইনস্টিটিউটের অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে নগরের মেহেদীবাগে। বর্তমানে ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫৩ জন। তাঁদের মধ্যে ছাত্রী ১৭৯ জন, ছাত্র ১৭৪ জন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ইনস্টিটিউটের শ্রেণিকক্ষগুলোর অবস্থা জীর্ণশীর্ণ। ছাত্রীদের জন্য মাত্র একটি শৌচাগার আছে। আবাসনসুবিধা পান মাত্র ১৩ শিক্ষার্থী। গ্রন্থাগারে বই নেই। ডাইনিংয়ে খাবারের ব্যবস্থা নেই। পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় তাঁরা মূল ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে চান।