বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার রায় দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। নতুন প্রজন্ম আর পথ হারাবে না। প্রজন্মের পর প্রজন্ম মাথা উঁচু করে বলবে আমরা বাঙালি। এটাই আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএসএ) এ সভায় আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিপিএসএর সভাপতি ও পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি। একুশে আগস্ট বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) হত্যার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন, আলোকিত করেছেন উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুকন্যা একের পর এক সফল করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বলেই সেটা করতে পেরেছেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য ও মুখ্য আলোচক শেখ কবির হোসেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালোবাসতেন, বিশ্বাস করতেন। তিনি সারা জীবন সাধারণ মানুষকে ভালোবেসে গেছেন, তাঁদের জন্য কাজ করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, দেশবিরোধী যেকোনো চক্রান্ত রুখে দিতে বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা যা করা দরকার, তাই করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মনিরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু রাজারবাগে বলেছিলেন ‘তোমরা জনগণের পুলিশ’। জনগণের পুলিশ হতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব পেশাদারত্বের সঙ্গে পালন করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ যেকোনো চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিপিএসএর ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ অতিরিক্ত আইজিপি ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং বিপিএসএর অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী বঙ্গবন্ধুসহ অন্যান্য শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।