আনসার ব্যাটালিয়নকে আটকের ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে বিরোধী দলকে হয়রানি করতে: বাম জোট
অপরাধীদের আটক করার ক্ষমতা রেখে প্রস্তাবিত ‘আনসার ব্যাটালিয়ন বিল, ২০২৩’–এর সমালোচনা করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। জোটের নেতারা অভিযোগ করেছেন, মূলত বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর ওই ক্ষমতা প্রয়োগ করে নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়ার অশুভ উদ্দেশ্যে এই আইন করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার বাম জোট এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছে। বিবৃতিতে বাম জোটের নেতারা বলেছেন, আনসার ব্যাটালিয়ন বিল পাস হলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের সময় আনসার সদস্যরা নতুন ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। যা মূলত বিরোধী দলের নেতা–কর্মীদের ওপর প্রয়োগ করা হবে।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমোদনক্রমে অপরাধীকে আটক করার ক্ষমতা পাচ্ছেন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা। এ বিধান রেখে গতকাল সোমবার ‘আনসার ব্যাটালিয়ন বিল, ২০২৩’ জাতীয় সংসদে তোলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
প্রস্তাবিত বিলের ৮ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যাটালিয়ন সদস্যের সামনে সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমোদনক্রমে অপরাধীকে আটক করে অবিলম্বে পুলিশের কাছে সোপর্দ করবে এবং ক্ষেত্রমতো জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি; কোনো স্থানে প্রবেশ ও তল্লাশি এবং মালামাল জব্দ করতে পারবে।’
বিবৃতিতে বাম জোট বলছে, এটা মূলত ব্যক্তিস্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী। আনসার ব্যাটালিয়ন গঠন করা হয়েছিল পুলিশকে সহায়তা করার জন্য, পুলিশের কোনো সমান্তরাল বাহিনী হিসেবে নয়।
বাম নেতাদের অভিযোগ, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আরও একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতা দখলের অসৎ উদ্দেশ্যে এই বিল পাসের আয়োজন করছে সরকার।
এই বিল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে দিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ও সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী।