এনআইডি ইসির অধীনে রাখতে কর্মসূচিতে যাচ্ছেন কর্মকর্তারা
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে রাখাসহ কয়েকটি দাবিতে কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছেন ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, আগামী ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের দাবি পূরণে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে ৫ ডিসেম্বর কালো ব্যাজ ধারণ ও ৮ ডিসেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন কর্মকর্তারা।
আজ মঙ্গলবার সংগঠনের নেতারা তাঁদের এই আল্টিমেটাম ও দাবিদাওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও ইসি সচিবকে দিয়েছেন। তাঁদের দাবির মধ্যে আছে—এনআইডি সেবা ইসির অধীনে রাখা এবং ইসি সচিবালয়ে প্রেষণে পদায়ন বন্ধ ও শূন্য পদ পূরণে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া, ইভিএম প্রকল্প গুদামঘর, যানবাহনসহ অনুমোদনে ইসির দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া এবং ইসি সচিবালয়ের সাংগঠনিক কাঠামো দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করা।
কর্মকর্তাদের এসব দাবিদাওয়ার বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন তাদের বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো ইসিকে জানিয়েছে। তিনি বলেন, বিধি অনুযায়ী পদোন্নতি এবং শূন্য পদ পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে এ ক্ষেত্রে পদ শূন্য থাকতে হবে এবং যোগ্যতা থাকতে হবে।
এনআইডি সেবা ইসির অধীনে রাখার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘কমিশন ইতিমধ্যে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করেছে। সরকার যেটা বাস্তবায়ন করবে, আমাদের সেটাই বাস্তবায়ন করতে হবে। এটার সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা একমত হয়েছেন।’
ইভিএম প্রসঙ্গে জাহাংগীর আলম বলেন, ইভিএমের জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এখন এটি একনেকে উঠবে। একনেকের অনুমোদনের আগে এ বিষয়ে কিছু বলা যৌক্তিক হবে না। এটি অনুমোদন হওয়ার পর বলা যাবে ইসির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে কী দেওয়া হয়েছে আর কী দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, অনেক পদ সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু সেটা এখনো সাংগঠনিক কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। সংশ্লিষ্ট কমিটি এটি নিয়ে আলোচনা করবে,এরপর এটি জনপ্রশাসন এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ে যাবে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং সময়সাপেক্ষ।
আগামী ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবিগুলো মানা সম্ভব কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাংগীর আলম বলেন, এটা যাঁরা দাবি করেছেন, তাঁরাই বলতে পারবেন। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া।
কর্মকর্তারা কর্মবিরতিতে গেলে অচল অবস্থার সৃষ্টি হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘দেখা যাক কী হয়।’