সামিয়া রহমানের পদাবনতির সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা হাইকোর্টের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে এক ধাপ নামিয়ে দুই বছর পর্যন্ত সহকারী অধ্যাপক রাখার সিদ্ধান্ত আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
গবেষণা নিবন্ধে ‘চৌর্যবৃত্তির’ অভিযোগে শাস্তি হিসেবে গত বছরের ২৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ওই সিদ্ধান্ত নেয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সামিয়া রহমান গত বছরের ৩১ আগস্ট রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে ‘চৌর্যবৃত্তির’ অভিযোগ ওঠা ওই গবেষণা নিবন্ধের পর্যালোচনা, চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ অনুসন্ধানকারী কমিটির প্রতিবেদন ও চৌর্যবৃত্তির শাস্তি নির্ধারণে গঠিত ট্রাইব্যুনালের সুপারিশ প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসান এম এস আজিম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাঈম আহমেদ।
পরে আইনজীবী হাসান এম এস আজিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত বছরের ২৮ জানুয়ারি থেকে (বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের নেওয়া ওই সিদ্ধান্তের দিন) সামিয়া রহমানকে আর্থিক সুবিধাসহ চাকরির সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী নাঈম আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।’