জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
ফাইল ছবি: বাসস

সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেওয়ার বিধানসংক্রান্ত সরকারি চাকরি আইনের ধারা বাতিল করে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিল আবেদন) করবে সরকার। আজ সোমবার জাতীয় সংসদে সরকারি চাকরি আইনের সংশোধনী বিল তুলতে গিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ কথা বলেন।

২৫ আগস্ট সরকারি চাকরি আইনের ৪১(১) ধারা সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এই ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে করা ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজ ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করার সরকারি চাকরি (সংশোধন) বিল-২০২২ সংসদে তুলতে গেলে আপত্তি জানান বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। তিনি বলেন, এই আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সম্প্রতি উচ্চ আদালতের একটি রায় হয়েছে। তাই এই আইন অকার্যকর। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে যায় না। যাঁরা অপরাধ করবেন, তাঁদের কি আইনের আওতায় আনা হবে না—এমন প্রশ্ন রেখে হারুন বলেন, আগে এই আইনে যেসব অসংগতি আছে, সেগুলো দূর করতে হবে।

জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইনে কারও ব্যক্তিগত অপরাধের দায়মুক্তি নেই। সরকারি কর্মচারীরা যাতে অহেতুক হয়রানির শিকার না হন, সে জন্য ভারতসহ বিভিন্ন দেশের আইনে এই বিধান আছে। সিআরপির ১৯৭ ধারাতেও এটি আছে। তিনি জানান, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকার লিভ টু আপিল করবে।

অবশ্য শেষ পর্যন্ত হারুনের আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। স্বশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা নির্ধারণে অর্থ বিভাগের করণীয় সম্পর্কে বিধান স্পষ্ট করতে বিলটি আনা হয়েছে।