দুবাইতে ‘এন্ডিউরেন্স’ মোটর রেসিংয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের অভিক আনোয়ার

দুবাইতে এন্ডিউরেন্স রেসিংয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি হাতে অভিক আনোয়ারছবি: অভিক আনোয়ারের সৌজন্যে

দুবাইতে গতকাল রোববার ‘এন্ডিউরেন্স’ মোটর রেসিংয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বাংলাদেশের মোটর রেসার অভিক আনোয়ার। গালফ প্রো চ্যাম্পিয়নশিপে ৩ নম্বর রাউন্ডে আয়োজকেরা প্রথমবারের মতো এন্ডিউরেন্স রেসিং চালু করেন। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল একজন গড়পড়তা রেসিং ড্রাইভার ও একজন সেরা রেসিং ড্রাইভারের মধ্যে প্রকৃত পার্থক্য স্পষ্টভাবে তুলে ধরা। অভিক আনোয়ারের সঙ্গে আরও তিনজন ক্রু (পিট ক্রু) ছিলেন এবং গাড়িতে ড্রাইভার হিসেবে অভিক আনোয়ার একাই ছিলেন। অতিরিক্ত পয়েন্ট সংগ্রহ করে অভিক আনোয়ার ও তাঁর দল গালফ প্রো চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান অর্জন করেন।

গালফ প্রো চ্যাম্পিয়নশিপ মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র ট্যুরিং কারের রেসিং প্রতিযোগিতা। এতে অংশ নেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের রেসাররা। এই এন্ডিউরেন্স রেসে মোট ৯টি গাড়ি অংশ নেয় এবং ১২ থেকে ১৪ জন ড্রাইভার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অংশগ্রহণকারী ড্রাইভাররা এসেছিলেন রাশিয়া, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ভারত, জর্ডান, মিসর ও বাংলাদেশ থেকে।

অধিকাংশ গাড়িতে ছিল দুই ড্রাইভারের দল, আবার কিছু গাড়িতে ছিল একক ড্রাইভার দল। অভিক আনোয়ার প্রথম আলোকে হোয়াটসঅ্যাপে বলেন, ‘এই সাফল্যের পেছনে বড় অবদান ছিল আমাদের সম্পূর্ণ বাংলাদেশি দলের। বিশেষ করে পিট স্টপে দলের নিখুঁত সমন্বয়, দ্রুততা ও পেশাদারত্বই এই জয়ের অন্যতম প্রধান কারণ। পুরো দল অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়েছে।’

রেসিংয়ে অভিক আনোয়ারের গাড়ি
ছবি: অভিক আনোয়ারের সৌজন্যে

এই রেস অনুষ্ঠিত হয় দুবাই অটড্রোম সার্কিটে। রেসার ৫.৩৯ কিলোমিটার ল্যাপের রেসে অংশ নেন। প্রায় দুই ঘণ্টার রেসে মোট ৪৭টি ল্যাপ সম্পন্ন করেন রেসাররা। যা প্রায় ২৫০ কিলোমিটারের বেশি রেসিং দূরত্বের সমান।

এ ধরনের একটি এন্ডিউরেন্স রেস শেষে একজন রেসার সাধারণত শরীর থেকে দুই কেজির মতো পানি হারাতে পারেন। কারণ, এই রেসে প্রয়োজন হয় চরম শারীরিক সক্ষমতা, মানসিক দৃঢ়তা ও দীর্ঘ সময় ধরে একাগ্রতা। রেসের মোট দূরত্ব ছিল প্রায় একটি ফর্মুলা ওয়ান রেসের সমান। এ কারণেই প্রতিযোগিতাটি আরও কঠিন ও মর্যাদাপূর্ণ হয়ে ওঠে।

দুবাইতে অন্য বিজয়ীদের সঙ্গে অভিক আনোয়ার
ছবি: অভিক আনোয়ারের সৌজন্যে

অভিক আনোয়ার বলেন, ‘এই এন্ডিউরেন্স রেস শুধু আমাদের রেসিং দক্ষতার প্রমাণই নয় বরং একটি বাংলাদেশি দল হিসেবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করার ঐতিহাসিক সাফল্য। আর মহান বিজয় দিবসের প্রাক্কালে এই সাফল্য আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।’