বিটিআরসি থেকে আইএসপি লাইসেন্সের আবেদন চালু

গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার লাইসেন্সের আবেদন গ্রহণ করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআরসি জানিয়েছে, তাদের ইস্যুয়েন্স ও ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (এলআইএমএস) মাধ্যমে এ আবেদন করা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবার আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এলআইএমএসের মাধ্যমে নতুন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) লাইসেন্সপ্রত্যাশী সব প্রতিষ্ঠানকে আবেদনের অনুরোধ করা হলো। উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ থেকে আইএসপি লাইসেন্সের আবেদন গ্রহণ বন্ধ ছিল।

গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর থেকে এলআইএমএসের মাধ্যমে বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা/থানা পর্যায়ে আইএসপি লাইসেন্সের আবেদন গ্রহণ শুরু করে বিটিআরসি। সংস্থাটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একটি নতুন আইএসপি লাইসেন্সের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচটি আবেদন পড়তে হবে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬১০টি আবেদন পড়ে। মূল্যায়নের সময় দেখা যায়, দুই বিভাগ, ৩০ জেলা ও ২২০টি থানায় একটি লাইসেন্সের বিপরীতে নির্ধারিত পাঁচটি আবেদন জমা পড়েনি। এলআইএমএস পদ্ধতিতে নতুন আবেদন বন্ধ থাকায় অনেকেই আবেদন গ্রহণ করতে পারছিল না। তাই নির্ধারিত নিয়মে একটির বিপরীতে জমা পড়া আবেদন মূল্যায়ন করে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য কমিশন বিবেচনা করে। পাশাপাশি যেখানে নিয়ম অনুযায়ী আবেদন জমা পড়েনি, সেখানে আবার আবেদন গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি।

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে চার ক্যাটাগরিতে ২ হাজার ৮০৪টি প্রতিষ্ঠানের আইএসপি লাইসেন্স আছে। তবে অবৈধ মিলিয়ে এ সংখ্যা ছয় হাজারের বেশি বলে ধারণা করা হয়।

বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) ইমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, নতুন করে লাইসেন্সের চেয়ে যারা থানা থেকে জেলায় বা জেলা থেকে বিভাগে যেতে চায়, তাদের সেই সুযোগ দেওয়া উচিত।