বিএনপির আরও ১৫৫ জন নেতা–কর্মী কারাগারে

সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজনভ্যান ঘিরে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনেরা। ৩১ অক্টোবর
ছবি: দীপু মালাকার

বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও ১৫৫ জন নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২১ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা মহানগর পুলিশ ১ হাজার ৮৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ঢাকার আদালত–সংশ্লিষ্টসূত্রগুলো বলছে, শাহজাহানপুর থানা-পুলিশ ১ জনকে, হাতিরঝিল থানা ৩, আদাবর থানা ৫, রমনা থানা ১০, কাফরুল থানা ৬, ভাষানটেক থানা ১, রূপনগর থানা ৫, পল্লবী থানা ১, মিরপুর থানা ১, শাহআলী থানা ২, বনানী থানা ৫, বংশাল থানা ৭, লালবাগ থানা ৪, চকবাজার থানা ৩, কামরাঙ্গীরচর থানা ৩, শ্যামপুর থানা ২, কদমতলী থানা ১৩, শ্যামপুর থানা ২, ধানমন্ডি থানা ২, ডেমরা থানা ১৮, যাত্রাবাড়ী থানা ১১, খিলগাঁও থানা ৫, মুগদা থানা ২, ওয়ারী থানা ১০, সূত্রাপুর থানা ২, গেন্ডারিয়া থানা ১৮ ও পল্টন থানা বিএনপির ৭ জন নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

নয়াপল্টনে ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ছিল। কিন্তু এর কয়েক দিন আগে থেকে প্রতিদিনই বিএনপির নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার করে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করছে পুলিশ। দুপুরের পর থেকে প্রিজনভ্যানে করে এসব নেতা–কর্মীকে আদালতে আনা হয়। তখন প্রিয়জনকে দেখতে স্বজনেরা আদালতের সামনে ভিড় করেন। আজও এর ব্যতিক্রম ছিল না।

গ্রেপ্তার স্বামী তাসভী আহমেদকে একনজর দেখতে ঢাকার সিএমএম আদালতে আসেন স্ত্রী সৈয়দা সায়রা। ৩১ অক্টোবল
ছবি: দীপু মালাকার

লালবাগ থানার পুরোনো মামলায় গতকাল সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছেন তাসভী আহমেদ নামের এক যুবককে। তাঁকে আজ কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

তাসভী আহমেদের স্ত্রী সৈয়দা সারা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার স্বামী কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। অথচ পুরোনো মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা ন্যায়বিচার চাই।’

তবে লালবাগ থানা–পুলিশ লিখিতভাবে আদালতকে জানিয়েছে, তাসভী আহমেদসহ অন্যরা রাজনৈতিক সহিংসতায় জড়িত এবং বিএনপির সব রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তিনি অংশ নেন।

পুলিশ খুনের মামলায় একজন রিমান্ডে
বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার শহিদুল্লাহ মুসুল্লী নামের এক আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ এই আদেশ দেন। এই খুনের মামলায় গতকাল আরও দুজনকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন শামীম রেজা ও মো. সুলতান।

গত শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা-কর্মীদের কয়েক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ হয়। এর এক পর্যায়ে ফকিরাপুল বক্স কালভার্ট এলাকায় হামলার শিকার হন পুলিশ সদস্য আমিরুল (৩২)। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।