উড়োজাহাজ কেনা নিয়ে প্রস্তাব দিয়েছে এয়ারবাস ও বোয়িং, জানালেন বিমানমন্ত্রী

সচিবালয়ে আজ বুধবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে এয়ারবাস ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এয়ারবাস গ্রুপের নির্বাহী কমিটির সদস্য ওয়াটার ভ্যান ওয়ার্শ বৈঠক করেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপে ও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক উপস্থিত ছিলেনছবি: সংগৃহীত

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান জানিয়েছেন, বিমান বাংলাদেশের বহর সম্প্রসারণের জন্য নতুন উড়োজাহাজ কেনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এরই মধ্যে উড়োজাহাজ বিক্রির জন্য এয়ারবাস প্রস্তাব জমা দিয়েছে। বোয়িং কোম্পানিও তাদের প্রস্তাব জমা দিয়েছে।

সচিবালয়ে আজ বুধবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে এয়ারবাস ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এয়ারবাস গ্রুপের নির্বাহী কমিটির সদস্য ওয়াটার ভ্যান ওয়ার্শ বৈঠক করেন। বৈঠককালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপে ও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বৈঠক ও মন্ত্রীর বক্তব্য জানায়।

বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশের ফ্লিট (বহর) সম্প্রসারণের জন্য আমরা নতুন উড়োজাহাজ কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এর অংশ হিসেবে এরই মধ্যে এয়ারবাস তাদের প্রস্তাব জমা দিয়েছে। সেই প্রস্তাব মূল্যায়নের জন্য বিমানে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির মূল্যায়ন প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এরই মধ্যে বোয়িং কোম্পানিও তাদের প্রস্তাব জমা দিয়েছে। এটিও যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি করা হবে। বাংলাদেশ ও বিমানের জন্য যেটি ভালো হবে, সেটিই করা হবে।’

মুহাম্মদ ফারুক খান আরও বলেন, বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার কাজ করছে সরকার। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান অ্যাভিয়েশন হাবে রূপান্তরের জন্য কাজ করছি। সেই লক্ষ্যে সারা দেশের সব বিমানবন্দরের উন্নয়ন নিশ্চিতের পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইনসের ফ্লিট (বহর) সম্প্রসারণ, মানবসম্পদের উন্নয়ন ও নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ চলমান।’

ফারুক খান বলেন, অ্যাভিয়েশন শিল্প মানে শুধুই উড়োজাহাজ বা বিমানবন্দর নয়। এর অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো দক্ষ মানবসম্পদ। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং তাদের নিয়মিত ও যথাযথ প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে দেশে একটি অ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া অ্যাভিয়েশন শিল্পের ওপর প্রশিক্ষণের জন্য কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান, যাতে অ্যাভিয়েশন শিল্পের সঙ্গে জড়িত সব প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতে বাংলাদেশেই দেওয়া সম্ভব হয়। এখানে এয়ারবাসের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

সাক্ষাৎকালে এয়ারবাসের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন শিল্প একটি সম্ভাবনাময় খাত। একটি টেকসই অ্যাভিয়েশন শিল্প নিশ্চিতে তাঁরা বাংলাদেশের সঙ্গে একটি দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কে আবদ্ধ হতে চান।

এরপর বিমানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত থ্যালাস ইন্টারন্যাশনালের এ দেশীয় পরিচালক বিনোইত নালিয়ন দেখা করেন।