আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন—যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের আয়োজনে শান্তি সমাবেশ থেকে ক্যাম্পাসে ফিরে সংঘর্ষে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার ছবি সংবলিত কাচের দেয়াল ভাঙচুর করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ছাড়া সংঘর্ষে ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত দুজন ইমন ও রবিনকে কবি নজরুল সরকারি কলেজের পাশের ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সমাবেশে যাওয়ার পথে কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলায়েত হোসেন সাগর ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদারের অনুসারীদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। বিষয়টি সেখানেই জ্যেষ্ঠ নেতারা সমাধান করে দেন। সমাবেশ শেষে ক্যাম্পাসে পৌঁছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্মীদের কাছ থেকে বিদায় জানিয়ে চলে যান।
কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদের কক্ষটি ছাত্রলীগ নিজেদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে। ওই কক্ষে সাধারণ সম্পাদকের তিন-চারজন অনুসারী আড্ডা দিচ্ছিলেন। কিছু সময় পরে সভাপতির কয়েকজন অনুসারী সেখানে এসে বাগ্বিতণ্ডায় জড়া়ন। একপর্যায়ে আবার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হলে সাধারণ সম্পাদকের অন্যান্য অনুসারীরা ক্যাম্পাসে আসেন। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলায়েত হোসেন (সাগর) বলেন, ‘ঘটনা জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে ক্যাম্পাসে এসে দেখি বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ কক্ষটি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে, সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রে অনুরোধ জানাব।’
এ ঘটনার পর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদারে সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি কল রিসিভ করেননি। এ ছাড়া খুদে বার্তা দেওয়া হলেও তার কোনো জবাব তিনি দেননি।