পুলিশের লুট হওয়া আরও ১৩৭টি অস্ত্র উদ্ধার
ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন থানা, পুলিশ ফাঁড়ি ও পুলিশ লাইনস থেকে লুট হওয়া আরও ১৩৭টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত লুট হওয়া ১ হাজার ২৩৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হলো।
আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বুধবার পর্যন্ত পুলিশের কাছ থেকে লুট হওয়া ২০ হাজার ৭৭৮টি গুলি, ১ হাজার ৪৮২টি কাঁদানে গ্যাসের শেল এবং ৭১টি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও প্রাণহানি হয়। শেষ তিন দিন (শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতা ছাড়ার আগে–পরে) থানা, ফাঁড়িসহ পুলিশের বেশ কিছু স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট হয়।
এসব ঘটনায় পুলিশের প্রায় সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। থানার নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যমতে, ১৫ আগস্ট থেকে সব থানায় কার্যক্রম চালু হয়। ধীরে ধীরে উদ্ধার হচ্ছে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ।
এর আগে ১২ আগস্ট তৎকালীন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন (এখন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে) সাত দিনের মধ্যে থানায় অস্ত্র জমা দিতে বলেছিলেন। পরদিন ১৩ আগস্ট তিনি বলেছিলেন, ‘অস্ত্র ফেরত দিতে বলেছি। যদি জমা না দিয়ে ধরা পড়েন, তাহলে দুই রকমের শাস্তি পাবেন। নিষিদ্ধ অস্ত্র ছিনতাই এবং নিষিদ্ধ অস্ত্র পাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন। সুতরাং নিজেরা ভয়ে আসতে না পারলে অন্য কাউকে দিয়ে জমা দেন।’