বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের বিবৃতি: জনবহুল এলাকার আকাশে বিমান প্রশিক্ষণ বন্ধ করতে হবে
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শোক জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। এ ঘটনায় হতাহতের সঠিক তথ্য নাগরিকদের সামনে তুলে ধরার দাবি তাদের। একই সঙ্গে রাজধানীসহ দেশের যেকোনো জনবহুল এলাকার আকাশে বিমান প্রশিক্ষণ বন্ধ করার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
বিবৃতিতে শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে চারটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো প্রশিক্ষণ বিমানের প্রায় নিয়মিত বিধ্বস্ত হওয়া চিরতরে বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও মেয়াদোত্তীর্ণ বিমানগুলোর উড্ডয়ন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা এবং ঘটনার তদন্তের ফলাফল জাতিকে অবহিত করা। নিহতের পরিবারের ক্ষতিপূরণ ও আহতদের যথাযথ চিকিৎসা প্রদান। হতাহতের সঠিক তথ্য দেশের নাগরিকদের সামনে তুলে ধরা এবং দুর্ঘটনাকালে তথ্যের প্রবাহ বাধাহীন রাখতে হবে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের যেকোনো জনবহুল এলাকার আকাশে বিমান প্রশিক্ষণ বন্ধ করতে হবে।
বিবৃতিতে শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে, নিহতের সংখ্যা নিয়ে নানান ধরনের তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপতথ্য ও গুজবেরও কমতি নেই। সংবাদকর্মীরাও সংবাদ সংগ্রহে বাধার মুখে পড়ার অভিযোগ করেছেন। তা ছাড়া জনবহুল ঢাকার আকাশে বিমান প্রশিক্ষণ নিয়েও রয়েছে নানান প্রশ্ন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত আটবার বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যাও অনেক। মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির বিমানটি ছিল চীনা চেংডু জে-সেভেন ফাইটার বিমান, যার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে ২০১৩ সালে এবং ২০২৩ সালে এর উড্ডয়ন চীন স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে মেয়াদোত্তীর্ণ বিমান দিয়েই প্রশিক্ষণ চলছিল। এদিকে বাংলাদেশে এই বিমান আরও ১১টি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
দেশের চিকিৎসক, ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে বিবৃতিতে উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত না ঘটাতে সর্বসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।