পোশাকশ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা এখন চ্যালেঞ্জ
কেন্দ্রীয় ডেটাবেজ না থাকায় পোশাকশিল্পের মোট শ্রমিকের সংখ্যার বিষয়টি এখনো নির্দিষ্ট নয়। ফলে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা একটি চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে অর্থপ্রাপ্তির দীর্ঘসূত্রতার কারণে শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও কেন্দ্রীয় তহবিলের সুবিধা শ্রমিকেরা পাচ্ছেন না। এ ছাড়া তহবিলের সঠিক ব্যবহার না হওয়ারও অভিযোগ আছে।
‘তৈরি পোশাকশিল্প শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা: ট্রেড ইউনিয়নের অবস্থানপত্র উপস্থাপন এবং ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তাদের আলোচনায় উঠে আসে এসব কথা। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টারের আজিমুর রহমান কনফারেন্স হলে বৈঠকটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিলসের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শাহ মো. আবু জাফর। স্বাগত বক্তব্য দেন বিলসের মহাসচিব নজরুল ইসলাম খান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শামসুন্নাহার ভূঁইয়া।
সামাজিক সুরক্ষার যে কর্মকৌশল তৈরি করা হয়েছে, সেখানে শ্রমিক সংগঠনের অংশগ্রহণ (শ্রমিকের প্রতিনিধি রাখা) নিশ্চিত করতে হবে বলে উল্লেখ করেন বক্তারা। এ সময় তাঁরা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের যথাযথ ব্যবহার এবং পোশাকশ্রমিকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। রানা প্লাজা ধস–পরবর্তী সময়ে তৈরি পোশাক কারখানাগুলো কমপ্লায়েন্ট (অভিযোগ প্রতিকারব্যবস্থা) হলেও শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা।