ছিনতাই-মারধরে অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে ঢাবি থেকে সাময়িক বহিষ্কার
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক দম্পতিকে মারধর ও হেনস্তা করে স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের মামলায় ছাত্রলীগের নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁদের কেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, এ বিষয়ে জবাব চেয়ে তাঁদের শিগগিরই চিঠি দেওয়া হবে। চিঠি পাওয়ার পরবর্তী সাত কার্যদিবসের মধ্যে ওই দুই নেতাকে এর জবাব দিতে হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। ওই দুই নেতা হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সদস্য রাহুল রায় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানজির আরাফাত ওরফে তুষার। রাহুল আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ আর তানজির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন, অসদাচরণ ও শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রাহুল রায় ও তানজির আরাফাতকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত এই শিক্ষার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, মর্মে চিঠি পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ১৫ জানুয়ারি রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক দম্পতিকে মারধর ও হেনস্তা করে স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের অভিযোগে করা মামলায় দুদিন পর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ছাত্রলীগের নেতা তানজির আরাফাত। তবে এক দিনের মধ্যেই ছাড়া পেয়ে আবার ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন তানজির। একই মামলার আরেক আসামি ছিলেন ছাত্রলীগের নেতা রাহুল রায়।
তানজির ও রাহুল—কারও বিরুদ্ধেই ছাত্রলীগ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। রাহুল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন আর তানজির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসানের অনুসারী।
তাঁদের মধ্যে রাহুল রায়কে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকার ‘ছিনতাইকারী গ্যাংয়ের প্রধান’ বলে আখ্যায়িত করেছেন খোদ তানভীর হাসান। তবে তানজির আরাফাতের বিষয়ে তানভীর হাসান বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘তানজিরের বক্তব্য হচ্ছে, সে অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়। সে যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, ততক্ষণে মারামারি শেষ। ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত একজন পুলিশ সদস্যও একই কথা বলেছেন।
বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন। আদালতে তার অপরাধ প্রমাণিত হলে অবশ্যই বহিষ্কার করা হবে। অপরাধ প্রমাণিত না হলে সে তার রাজনৈতিক কার্যক্রম বা স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে পারবে।’