মন্ত্রণালয় এসব উদ্যোগের কথা বললেও আসলে প্রবীণ নীতিমালা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। এটি বাস্তবায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়কে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি।
দেশে ১ কোটি ৫৮ লাখ প্রবীণ আছেন। ২০১৩ সালে জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা হয়েছে, ২০১৪ সালে প্রজ্ঞাপন হয়েছে, অথচ আজ পর্যন্ত এই নীতিমালার কোনো বাস্তবায়ন নেই।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রথম আলোকে বলেন, ১ কোটি ৫৮ লাখ প্রবীণ রয়েছেন দেশে। ২০১৩ সালে জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা হয়েছে, ২০১৪ সালে গেজেট হয়েছে অথচ আজ পর্যন্ত এই নীতিমালার কোনো বাস্তবায়ন নেই। বয়স্ক ভাতা দেওয়া, কিছু প্রবীণ নিবাস করা, এগুলোর বাইরে তেমন কার্যক্রম নেই। এ জন্য সংসদীয় কমিটি এই নীতিমালা বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে।
বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে প্রবীণদের কল্যাণে প্রণীত ‘জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা-২০১৩’-এর বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়। যেখানে সব ধরনের যানবাহনে প্রবীণদের কম ভাড়ায় যাতায়াত, প্রবীণদের উপযোগী রাস্তা তৈরি, প্রবীণ স্বাস্থ্য বিমা ও সঞ্চয়পত্র প্রবর্তন, সাশ্রয়ী মূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান, মেডিকেল কলেজ, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে বয়স্ক বিভাগ খোলা, প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রবীণদের জন্য টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান, সিনিয়র সিটিজেন কার্ডের মাধ্যমে কম মূল্যে ওষুধ ক্রয়সহ বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কমিটি এসব বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয়কে কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করে।
কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য মো. শিবলী সাদিক, নাসরিন জাহান, আ ক ম সরওয়ার জাহান, আরমা দত্ত ও শবনম জাহান বৈঠকে অংশ নেন।