সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। দুদক সূত্র বলছে, মামলায় ফরিদুল হকের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭১৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর তাঁর স্ত্রী আফরোজা হকের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৩৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হকের নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১১টি ব্যাংক হিসাবে ২৬ কোটি ৪৫ লাখ ৯ হাজার ৬৬১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এ বিষয়ে মানি লন্ডারিং প্রতিরাধ আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
গত ১৯ আগস্ট বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ৪১ জন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুদক। এঁদের মধ্যে সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হকের নাম ছিল। তাঁদের অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এম সারোয়ার হোসেন নামের এক আইনজীবী দুদকে অনুসন্ধানের আবেদন করেন। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক সাবেক ৪১ মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের অনিয়ম–দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে।
দুদক সূত্র জানায়, ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরপর দুদক বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী,সংসদ সদস্য, আমলা ও পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধান শেষে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন–অর–রশীদসহ অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।