আইনের বিধান কতটা বাস্তবায়িত হচ্ছে, জানাতে বললেন হাইকোর্ট

হাইকোর্টফাইল ছবি

কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কৃষি বিপণন আইনের বিধান যথাযথভাবে বাস্তবায়নের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট। এক রিটের শুনানিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার মৌখিকভাবে এ বিষয়ে জানাতে বলেন।

একই সঙ্গে কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ ও বিধানটি বাস্তবায়নে নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্নে করা ওই রিটের শুনানি এক সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেছেন আদালত।

‘নির্বিকার কর্তৃপক্ষ পণ্য কিনে ঠকছেন ভোক্তা: আলুর কেজি এক লাফে বাড়ল ১৫ টাকা’ শিরোনামে গত ২৬ ডিসেম্বর একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে আলু, পেঁয়াজসহ কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষি বিপণন আইনের ৪(ছ) বিধান বাস্তবায়ন করে কৃষিপণ্য উৎপাদন এলাকায় বাজার অবকাঠামো স্থাপনে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে গত ডিসেম্বরে রিটটি করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক আবেদনকারী হয়ে রিটটি করেন। রিটটি আজ শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে। আদালতে রিটের পক্ষে আবেদনকারী মনোজ কুমার ভৌমিক নিজে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।

শুনানিতে আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক বলেন, উৎপাদন এলাকায় সরকার বাজারকাঠামো করবে—এটিই কৃষি বিপণন আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য। ২০১৮ সালের ওই আইনের ৪(ছ) বিধান অনুসারে সুষ্ঠু বিপণনের স্বার্থে কৃষিপণ্য উৎপাদন এলাকায় বাজার অবকাঠামো, গুদাম, হিমাগার ইত্যাদি নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা জোরদার করবে। কৃষি অধিদপ্তর এই কাজগুলো করতে বাধ্য। কিন্তু বিধানটির দৃশ্যমান বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না।

একপর্যায়ে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে হলফনামা করে রিটটি করা হয়। নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। নতুন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এসেছেন। তিনি ইতিমধ্যে কিছু উদ্যোগও নিয়েছেন। তখন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলকে আদালত বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর নেন, এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হলো।  

পরে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই বিধান বাস্তবায়নের বিষয়ে খোঁজ নিতে বলেছেন আদালত। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আদালতকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।