ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগের বিধান যুক্ত করতে সংসদে বিল

জাতীয় সংসদ ভবনফাইল ছবি

ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) প্রশাসক নিয়োগের বিধান যুক্ত করে আইনে সংশোধনী আনা হচ্ছে। এ জন্য ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল-২০২৪’ জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে।

রোববার স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বিলটি সংসদে তোলেন। বিলটির বিষয়ে আপত্তি জানান বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। তাঁরা বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগের বিধান যুক্ত করা হবে অগণতান্ত্রিক। এটি গণতন্ত্রবিরোধী চেতনা।

অবশ্য এই দুই সংসদ সদস্যের আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে বিলটি সংসদে তোলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। এরপর বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণার পর বা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করবে এবং নির্বাচিত পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন। তবে প্রশাসক নিয়োগ হবেন কেবল একবারের জন্য এবং ১২০ দিনের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। কোনো দৈবদুর্বিপাকের কারণে নির্বাচিত পরিষদ গঠন করা সম্ভব না হলে সরকার ওই মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়াতে পারবে। অতিমারি, মহামারি ইত্যাদি বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার এই মেয়াদ যৌক্তিক সময় পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো সদস্য বা প্রশাসক যদি নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হন, তাহলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। বিদ্যমান আইনে এটি ১০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদটির নাম হবে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা।

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি বিল সংসদে

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি আইন করতে জাতীয় সংসদে বিল তোলা হয়েছে। রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি বিল সংসদে তোলেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) ময়মনসিংহে অবস্থিত। এটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন সেটিকে নতুন আইনের অধীনে আনা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দ্য গভর্নমেন্ট এডুকেশনাল অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউশনস অর্ডিন্যান্স ১৯৬১ অনুযায়ী বাংলাদেশে কয়েকটি প্রশিক্ষণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হতো। কিন্তু বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানগুলোয় যুগোপযোগী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পৃথক আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।