লতিফুর রহমানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান
ছবি: প্রথম আলো

দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১ জুলাই। ২০২০ সালের এই দিনে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের চিওড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন।

নৈতিকতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার কারণে লতিফুর রহমান দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছিলেন। ২০১২ সালের ৭ মে লতিফুর রহমানকে সম্মানজনক অসলো বিজনেস ফর পিস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করে নরওয়েভিত্তিক বিজনেস ফর পিস ফাউন্ডেশন, অসলো। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ ও ন্যায়পরায়ণ ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে তাঁকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। সৎ ও সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন।

বাংলাদেশে স্বাধীন সম্পাদকীয় নীতির ভিত্তিতে পরিচালিত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায়ও লতিফুর রহমানের অবদান রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের সর্বাধিক পঠিত বাংলা দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের উদ্যোক্তা।

লতিফুর রহমানের জন্ম ১৯৪৫ সালে। ঢাকার সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু। ১৯৫৬ সালে শিলংয়ের সেন্ট এডমন্ডস স্কুলে ভর্তি হন। পরে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে সিনিয়র কেমব্রিজ পরীক্ষা দেন।

ঢাকায় ফিরে এসে ১৯৬৬ সালে লতিফুর রহমান চাঁদপুরের পারিবারিক পাটকল ডব্লিউ রহমান জুট মিলস লিমিটেডে নির্বাহী হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭২ সালে টি হোল্ডিংস লিমিটেড চালুর মাধ্যমে নাম লেখান চা রপ্তানির ব্যবসায়।

১৯৮৭ সালে লতিফুর রহমানের নেতৃত্বে ট্রান্সকম গ্রুপের যাত্রা শুরু। ওষুধশিল্প, বৈদ্যুতিক, ইলেকট্রনিকস, গণমাধ্যম, কোমল পানীয়, চা, ভোগ্যপণ্যসহ বিচিত্র ব্যবসা খাতে গ্রুপটির একাধিক কোম্পানি রয়েছে। ২০১৭ সালে ট্রান্সকম বেভারেজেস লিমিটেড পেপসিকোর ‘গ্লোবাল বটলার অব দ্য ইয়ার ২০১৬’ পুরস্কার পায়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সিনিয়র সিটিজেন ক্যাটাগরিতে ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর লতিফুর রহমান সর্বোচ্চ করদাতার পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ঢাকার (এমসিসিআই) সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশসহ ব্যবসা খাতের বিভিন্ন সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।