একাত্তরে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিসহ আট দফা দাবি সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের

জাতীয় প্রেসক্লাবে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১–এর সংবাদ সম্মেলন
ছবি: প্রথম আলো

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের ঘাতক দোসরদের হাতে সংঘটিত গণহত্যা, নারী নির্যাতনের স্বীকৃতি দিতে বিশ্বসভার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১। একই সঙ্গে তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দুটিসহ মোট আটটি দাবি তুলে ধরে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১।

২৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১-এর ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনের আলোকে এসব দাবি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব হারুন হাবীব লিখিত দাবিগুলো পড়ে শোনান। তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে তথ্য-উপাত্তসহ দাবিগুলো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

হারুন হাবীব বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ শক্তি আবার সংগঠিত হচ্ছে। তাই মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা এমন হতে হবে, যেখানে সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হয়।

সংগঠনের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—মুক্তিযুদ্ধের প্রধান যুদ্ধক্ষেত্র ও বধ্যভূমিগুলোতে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি, বিদেশি হস্তক্ষেপমুক্ত বাঙালির জাতীয় স্বাধীনতা ও অসাম্প্রদায়িক জাতিসত্তা নিশ্চিত করা, সংবিধানে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ’ ও ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ সংযোজন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভিআইপি মর্যাদা প্রদানসহ হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা, মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতা প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তাদের সমান করা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা সমাধিক্ষেত্র নির্মাণ করা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কার্যনির্বাহী সভাপতি মো. নূরুল আলম, সহসভাপতি ম. হামিদ, সহসভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী সিকদার, সহসভাপতি এ কে এম শহীদুল হক, যুগ্ম মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী, যুগ্ম মহাসচিব ম আবদুল মাবুদ, যুগ্ম মহাসচিব শাহজাহান মৃধা বেনু।