সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও গণতন্ত্রের কঠিন পথে এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইছবি : বাসস

ঢাকায় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই বলেছেন, গণতন্ত্র মানে স্বাধীনতা, সমতা এবং ভ্রাতৃত্ববোধ ও অন্তর্ভুক্তি। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশ করার অধিকার এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও গণতন্ত্রের কঠিন পথে এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। অবশ্যই এর সঙ্গে ন্যায়বিচারও থাকতে হবে।

রোববার রাতে ফ্রান্সের জাতীয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন। ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

ম্যারি মাসদুপুই বলেন, ‘প্রতিবছর আপনাদের সবার সঙ্গে আমাদের জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন করা সব সময় আনন্দের। আগের বছরের স্মৃতি ভাগ করে নেওয়ার এবং ভবিষ্যতের দিকে তাকানোর জন্য এটি একটি অসাধারণ উপলক্ষ। আপনারা জানেন, ২৩৬ বছর আগে প্যারিসের জনগণ সেখানকার রাজনৈতিক কারাগার বাস্তিল দুর্গের পতন ঘটান, যা ছিল তখন রাজতন্ত্রের প্রতীক। বাংলাদেশের মানুষ বছরখানেক আগে গণভবন দখল করেন, যা ঘৃণিত শাসনব্যবস্থার প্রতীক। যে মূল্যবোধের জন্য আপনারা লড়াই করেছেন তা আমাদের পরিচিত।’

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার বিচক্ষণ ও অসাধারণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন সত্যিকারের গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাতে অনেক বাধা আসবে। তবে সাহস ও দৃঢ়প্রত্যয় থাকলে বাধাগুলো কাটিয়ে ওঠা যাবে। তবে এই ক্রান্তিকালে ধৈর্যের দরকার হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ফ্রান্সের দীর্ঘ সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন ম্যারি মাসদুপুই। তিনি বলেন, গণতন্ত্র সুসংহত করতে ফ্রান্সের প্রায় ১০০ বছর সময় লেগেছে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ ফ্রান্সের চেয়ে দ্রুত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে।’

বাংলাদেশে ফ্রান্সের চলমান বিভিন্ন প্রকল্প এবং দুর্নীতির কারণে সেগুলো বাধাগ্রস্ত হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ম্যারি মাসদুপুই বলেন, ‘চলমান পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে আমরা ধৈর্য ধরার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারি। আমাদের কিছু প্রকল্প পর্যালোচনাধীন। কারণ, অত্যধিক দুর্নীতি ছিল এবং এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তার পক্ষে আমরা। আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে জনসংখ্যার বৃহত্তর সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে সেগুলা বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে বলে বিশ্বাস করি।’