প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর দুই বছর কারাদণ্ড
প্রতারণার অভিযোগে করা একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে দুই বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁদের ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র আজ বুধবার এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মেহেদী হাসান।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতারণার অভিযোগে রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেন তৌফিক মাহমুদ নামের এক গ্রাহক। ওই মামলায় দুজনকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। তবে আদালতে হাজির না হওয়ায় গত বছরের ৪ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
ভুক্তভোগী তৌফিক মাহমুদ মামলায় অভিযোগ করেন, ইভ্যালির চমকদার বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত হয়ে একটি মোটরসাইকেল কেনার জন্য ২০২১ সালের ২০ মার্চ তিনি ইভ্যালিকে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। আরও দুটি মোটরসাইকেল কেনার জন্য ইভ্যালিকে ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন।
তৌফিক মাহমুদ অভিযোগ করেন, কিন্তু ইভ্যালি তাঁকে মোটরসাইকেল বুঝিয়ে দেয়নি। পরে দুটি চেক দিয়েছিল ইভ্যালি। সেই চেক ব্যাংকে প্রত্যাখ্যাত হয়। পরে তিনি ইভ্যালি বরাবর আইনি নোটিশ করেছিলেন। কিন্তু ইভেলি তাঁর পাওনা পরিশোধ করেনি।
এরপর তৌফিক মাহমুদ ঢাকার আদালতে নালিশি মামলা করেন। ওই মামলায় গত ২৮ আগস্ট ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বাদীপক্ষ থেকে দুজন সাক্ষীর জবানবন্দী নেন আদালত। ২২ জানুয়ারি মামলার যুক্তি শুনানি শেষে রায় ঘোষণার দিন আজ বুধবার ধার্য করেছিলেন আদালত।
২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনে মুক্ত হন। তবে এ মামলায় তাঁরা শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন।