সুবিধার আশায় ঘুরঘুরকারীদের কাছ থেকে প্রতিবাদ আশা করা যায় না

বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র অধিকার পরিষদ সংহতি সমাবেশের আয়োজন করে। শাহবাগ, ঢাকা, ৭ অক্টোবর
ছবি: সাজিদ হোসেন

বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ মেধাবী ছিলেন বলেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলেন। সুযোগ-সুবিধার আশায় যারা সরকারের চারপাশে ঘুরঘুর করে, তাদের কাছ থেকে সেই প্রতিবাদ আশা করা যায় না৷

আবরারের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত এক সংহতি সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের এক দল নেতা-কর্মীর মারধরে মারা যান আবরার।
শাহবাগের সমাবেশে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম আবরারের প্রতিবাদী ভূমিকার কথাটি উল্লেখ করেন। সুযোগ-সুবিধার আশায় সরকারের আশপাশে ঘুরঘুর করা মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বুদ্ধিমান হলে কত আগে কেটে পড়তে পারবেন, তা ভাবুন।’

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ বলেন, আবরারের দোষ ছিল ফেনী নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া।

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলছে।

ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্যের সমন্বয়ক ও ছাত্র অধিকারের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ দেশের ক্যাম্পাসগুলোতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ছাত্রলীগের অপকর্ম নথিভুক্ত করা হচ্ছে। তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।

ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইফতেখারুল আলম, লেখক রাখাল রাহা, ছাত্র অধিকারের কারাবন্দী সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লার বাবা রফিকুল ইসলাম মোল্লা, ছাত্র ফেডারেশনের (গণসংহতি আন্দোলন) সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, জেএসডি ছাত্রলীগের সভাপতি তৌফিকউজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সমাবেশে গত বছরের অক্টোবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবরারের স্মরণসভা করতে যাওয়া নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।